পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩২০ ৷৷ जछिडा-मब्लिन्म । ጫ S সে ভাষা প্রাণবন্ত হইবেই। হইবে। প্রাণময়ী ভাষা আপনার শব্দসম্পদ আপনিই খুজিয়া লয়। যাহাতে ভাবটি অবিকল ও সরলভাবে প্রকাশ পায়, ভাব প্রকাশে কোনওরূপ বাধা না জন্মে, সাহিত্যিকের তাহারই জন্য চেষ্টা প রা কীর্ত্তব্য । ভাষাকে আড়ষ্ট করিলেই সর্ব্বনাশ । — সে নিশায় আমি ক্ষেত্র তীরে নড়বোড়ে পাতার কুটীরে । এ স্থলে “নড়বোড়ো” শব্দটি চলিত ভাষা হইতে গৃহীত। নিশা, ক্ষেত্র, তীর, কুটীর প্রভৃতি শব্দের সহিত উঠা এক পংক্তিতে বসিতে পাইয়াছে ; তাহার কারণ, উহা যে ভাপ সম্পদে সম্পন্ন কোন সংস্কৃতিসম বা সংস্কৃতোদ্ভব কথা এখানে ঠিক সেই ভাব প্রকাশ করিতে পারে না। তাই ঐ শব্দ কবির অসাধারণ কবিত্বশক্তির পরিচয় দিতেছে। আবার ঈশ্বর গুপ্ত লিখিয়াছেল,- পোড়া আকালেতে নাকাল করে स्छाभा(७ाव्ा *tफुtछ उ26द । আমরা হাটের ন্যা ভুল শিক্ষে ধরে ভিক্ষে ক’রে বেড়াই সনে ৷ gEDBDBD DB D DDBBD BBDDB DBDBDBBB0SS S BD BD DBDDB যে চাষার ভাষা সাহিত্যে আমদানী করিতে হইবে, ইহার কোনও অর্থ নাই | উপরি উদ্ধত কবিতার ভাষা চাষার ভাষা নহে। উহা সমাজের উচ্চস্তরের চলিত ভাষা । কিন্তু তথাপি সেই ঈশ্বরগুপ্তের লিখা এখন লোক আর তেমন আগ্রহের সহিত পড়ে না কেন সাহিত্যাচার্য্য মহাশয় তাহা ভাবিয়া দেখিয়াছেন কি ? অন্যান্য কারণের মধ্যে তাহার একটি প্রধান কারণ এই যে, উহাতে অনেক গ্রাম্য ও প্রাদেশিক শব্দ আছে —সকলে উহা বুঝিয়া উঠিতে পারে না। স্বৰ্গীয় কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয়ের ‘হুতোম প্যাচাব নক্সার” কথা লোক প্রায় ভুলিতে বসিয়াছে,~~ কিন্তু মহাভারতের অনুবাদ “পড়িতে' পায় না। বঙ্কিমবাবুর উচ্চ প্রশংসা সত্ত্বেও পিয়ায়ারীচাঁদ মিত্র মহাশয়ের ‘আলালের ঘরের দুলাল’ এখন বিস্মৃতির অতল তলে ডুবিতে বসিয়াছে, ইহা কি সরকার মহাশয় দেখিয়াও দেখিতেছেন না ? কিন্তু তারাশঙ্করের কাদম্বরীর কথা ত কেহ ভুলে নাই। আবার ভূদেব বাবুর গ্রবন্ধ গুলির আদর বাড়িতেছে। সকল দেশেই চলিত ভাষার, কথোপকথনের ভাষার সহিত, সাহিত্যের