শ্রাবণ, ১৩১৯ । VIR f Sw9ዓ হইতে ভারতের প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস সঙ্কলিত হইবে। এই শিল্পনিদর্শনেই ভারতীয় সভ্যতার ইতিহাসের উপাদান বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে। প্রাচীন ভারতের ধারাবাহিক ইতিহাস নাই, কেন নাই-তাহার কারণ নিৰ্দ্ধারণ কুরিতে বিজ্ঞবর ওলডেনবাৰ্গ হইতে তরুণ লেখক ব্রাডলী বার্ট পর্য্যন্ত অনেকেই প্রয়াস পাইয়াছেন। ওলডেনবাৰ্গ বলেন, ভারতে ধর্ম্মানুষ্ঠানবৃত্তি ঐতিহাসিকবৃত্তি অপেক্ষা প্রবল ছিল ;-বাস্তবিক ভারতবাসীরা ইতিহাস সম্বন্ধে উদাসীন ছিল। গল্প বঙ্কিমচন্দ্রও এইরূপ মত প্রকাশ করিয়া গিয়াছেন,-“ভারতবর্ষীয়দিগের যে ইতিহাস নাই, তাহার বিশেষ কারণ আছে। কতকটা ভারতবর্ষীয় জড় প্রকৃতির বলে প্রপীড়িত হইয়া, কতকটা আদৌ দসু্যজাতীয়দিগের ভয়ে তীত হইয়া, ভারতবর্ষীয়েরা ঘোরতর দেবভক্ত । বিপদে পড়িলেই দেবতার প্রতি ভয় ভক্তি জন্মে। যে কারণেই হউক, জগতের যাবতীয় কর্ম্ম দেবতানুকম্পায় সাধিত হয়, ইহা তঁহাদিগের বিশ্বাস । ইহলোকের যাবতীয় অমঙ্গল দেবতার অপ্রসন্নতায় ঘটে, ইহাও তাহাদিগের বিশ্বাস। এজন্য শুভের নাম ‘দৈব’ অশুভের নাম ‘দুৰ্দৈব” । এরূপ মানসিক গতির ফল। এই যে, ভারতবর্ষীয়েরা অত্যন্ত বিনীত ; সাংসারিক ঘটনাবলীর কর্ত্তা আপনাদিগকে মনে করেন না ; দেবতাই সর্বত্র সাক্ষাৎ কর্ত্তা, বিবেচনা করেন। এজন্য র্তাহারা দেবতাদিগেরই ইতিহাস কীর্ত্তনে প্রবৃত্ত ; পুরাণেতিহাসে কেবল দেবকীর্ত্তিই বিবৃত করিয়াছেন। যেখানে মনুষ্যকীর্ত্তি বর্ণিত হইয়াছে, সেখানে সে মানুষ হয়, দেবতার আংশিক অবতার, নয়, দেবানুগৃহীত ; সেখানে দৈবের সংকীর্ত্তনই উদ্দেশ্য। মনুষ্য কেহ নহে, মনুষ্য কোন কার্য্যেরই কর্ত্ত নহে, অতএব মানুষ্যের প্রকৃত কীর্ত্তি বর্ণনে প্রয়োজন নাই। এ বিনীত মানসিক ভাব ও দেবভক্তি অন্মজ্জাতির ইতিহাস না থাকার কারণ। ইউরোপীয়েরা অত্যন্ত গর্ব্বিত ; তঁহারা মনে করেন, আমরা যাহা করিতেছি। ইহ, আমাদিগেরই কীর্ত্তি ** * * এইজন্য গর্ব্বিত জাতির ইতিহাসের বাহুল্য ; এইজন্য আমাদের ইতিহাস নাই।” । বাস্তবিক সকল প্রাচীন জাতিরই পুরাতন ইতিহাস না থাকিবার কতকগুলি বিশেষ কারণ আছে। দেশের রাজনীতিক অবস্থা সে সকলের মধ্যে gED SDBBB DtBDS gBBBDSDBEBS BDOB S DBDD DS DBD ESD Tranansa (b 3 uddha i frf" es
