পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

($ - আর্য্যাবর্ত্ত ।। ৩য় বর্ষ- ১ম সংখ্যা। মির্জানগর যশোহর জিলার একটি গ্রাম। ই, বি, এস, রেলওয়ের যশোহর ষ্টেশন হইতে এই স্থান নয় ক্রোশ দূরবর্তী। এই মির্জানগরের কিয়দংশ লইয়াই এক্ষণে ত্রিমোহিনী হইয়াছে। ত্রিমোহিনী মির্জানগর হইতে অৰ্দ্ধ মাইল দূরে অবস্থিত। মির্জারানগরে একটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ দৃষ্টিগোচর হইয়া থাকে। স্থানীয় লোকের নিকট ইহা “নবাববাড়ী” বলিয়া পরিচিত। অনেক ভ্রান্তিমূলক আখ্যান এই “নববিবাড়ী” নামের সহিত সংশ্লিষ্ট থাকিলেও ইহার সাহিত অতীত ইতিহাসের যথেষ্ঠ সম্পর্ক আছে। এইরূপ ভগ্ন বাটী মির্জানগরের অন্যত্রও পরিলক্ষিত হয়। উল্লিখিত প্রাসাদের অভ্যন্তরে দুই দিকে দুইটি চতুষ্কোণ প্রাঙ্গণ ; মধ্যস্থলে এক উচ্চ প্রাচীর দণ্ডায়মান হইয়া ঐ দুইটি প্রাঙ্গণকে বিভক্ত করিয়া দিতেছে। উত্তরদিকের প্রাঙ্গণের উত্তরে এবং দক্ষিণদিকের প্রাঙ্গণের দক্ষিণে আবার ঐ রূপ প্রাচীর আছে। উক্ত দুইটি প্রাচীরের পূর্বদিকে দুই সারি খিলান করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কক্ষ এখনও বর্তমান। উত্তরদিকের প্রাঙ্গণের পশ্চিমে তিনটি বৃহৎ গম্বুজবিশিষ্ট অট্টালিকা । স্থানীয় লোকরা ইহাকে শয়নগৃহ বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকে। এই অক্টোলিকার প্রায় সকল অংশই ভগ্নী ; কেবল তিনটি গম্বুজ দণ্ডায়মান রুহিয়াছে। বর্ণিত অষ্টালিকার সম্মুখভাগে ইমাঃ রতি-কার্যখচিত একটি বৃহৎ চৌবাচ্চা আছে। কথিত আছে, এক সময় এই চৌবাচ্চ স্নানার্থ ব্যবহৃত হইত। * অদূরবত্তী ভদ্রানদী হইতে কলসাহায্যে নির্ম্মল বারি উত্তোলিত করিয়া ধুই চৌবাচ্চ পূর্ণ করা হইত। এই চৌবাচ্চার নিম্নদেশে এক ভূগর্ভপ্রবাহিত পয়ঃপ্রণালী দেখিতে পাওয়া যায় ; অপরিস্কৃত জল এই পয়ঃপ্রণালী দিয়া বহিৰ্গত হইত । ভদ্রানদী এক্ষণে পঙ্গপূর্ণ ও জলশূন্য কিন্তু এক সময় ইহা নীল বারিরাশি বক্ষে লইয়া প্রবলবেগে প্রাসাদের পাদমূল ধৌত করিয়া প্রবাহিত হইত। - নদী, এক্ষণে প্রাসাদের নিয়ে না বহিয়া একটু দুরে সরিয়া গিয়াছে। উল্লিখিত নবাববাড়ীর দক্ষিণদিকের প্রাঙ্গণে এবং নিকটবর্ত্তী স্থানে কৃতিপয় মুসলমান মসজেদের ভগ্নাবশেষ পরিলক্ষিত হয় ; সুতরাং, এই স্থানে p-g In front of this, and within the courtyard, is a large ma sonry preservoir, which is said to have been a bath".- Westand, f Statistical Account of Bengal.