পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-> と আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ --- ১২শ সংখ্যা । হইত। তথায় রুশ্নের জীবলীলার অবসান হইলে উপরের উল্লিখিত অবস্থা ঘটিত ; আরোগ্যলাভ করিলে তাহারা বাসস্থানে প্রত্যাবর্ত্তন করিত। এই সময়ে একজন বিধান-কর্ত্তার আবির্ভাব হইল। তিনি লোকসমূহকে মৃতদেহ বাতাসে রক্ষা করিতে আদেশ দিলেন । তদনুসারে তাহারা এরূপ রেলিং ও ছান্দযুক্ত অট্টালিকা নির্ম্মাণ করিল যে, মৃতদেহের উপর দিয়া বাতাস বহিয়া যাইতে পারে। ইহা সুর্য্যোপাসকদিগের ( জোরাষ্ট্রিয়ানদের ) সমাধিচুড়ার অনুরূপ এই আচার বহুদিন পালিত হওয়ার পর নারায়ণ মৃতদেহ অগ্নিতে সমর্পণ করিবার বিধান দিলেন । সেই অবধি যাহাতে মৃতদেহের কোন অবশেষ না থাকে এবং সমস্ত আবৰ্জনা, ময়লা ও গন্ধ সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত ও তাহার সর্ব্বপ্রকার চিকু লুপ্ত হইয়া যায় সেইজন্য তাহারা শবদাহ করিয়া আসিতেছে। আধুনিক কালে প্ল্যােভনিয়ানগণও তাহদের মৃতদেহ দাহ করে, যেমন প্রাচীন গ্রীকগণ শাবদাহ ও কবর দেওয়া উভয় প্রথাই পালন করিতেন। এই স্থলে অলবেরুণী সক্রেটস, গ্যালেনাস প্রভৃতি গ্রীক গ্রন্থকারগণের উক্তি উদ্ধৃত করিয়া দেখাইয়াছেন যে, গ্রীকদিগের মধ্যে শবদাহ প্রথা প্রচলিত ছিল ; কিন্তু এই প্রথা সমাজের উচ্চস্তরেই আবদ্ধ ছিল । অলবেরুণী তৎপরে সুর্য্যরশ্মি ও অগ্নিই যে হিন্দুগণের ঈশ্বরসমীপে উপস্থিত হইবার সরল পথ বলিয়া বিবেচিত তৎসম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন। অবিনশ্বর আত্মার ঈশ্বর সমীপে প্রত্যাগমনসম্বন্ধে হিন্দুগণের ধারণা এই যে, ইহা কতকটা সুর্য্যরশ্মির দ্বারা ( আত্মা সূর্য্যরশ্মির সহিত যুক্ত হইয়া তৎসহ আরোহণ করে ) ও কতকটা অগ্নির স্ফুলিঙ্গদ্বারা (কারণ ইহা আত্মাকে ঈশ্বরসমীপে উপস্থিত করে ) সম্পাদিত হয় । কোন কোন হিন্দু ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেন যে, তিনি তঁহার নিকট যাইবার পথ যেন খুব সরল করিয়া দেন । জলমগ্ন মৃত ব্যক্তির সম্বন্ধে গাজ তুরস্কদিগের ব্যবহারও ইহার অনুরূপ। কারণ, তাহারা মৃতদেহ নদীতে একটি শবাধারে রক্ষিত করে এবং একগাছি রজজু তাহার পদ হইতে ঝুলাইয় তাহার প্রান্তভাগ জলে নিক্ষেপ করে ; এই রজজুর সাহায্যে মৃত ব্যক্তির আত্মা আপনাকে মুক্তির জন্য উন্নীত করে। এ সম্বন্ধে হিন্দুদিগের বিশ্বাস বাসুদেবের উক্তিদ্বারা সমর্থিত হইয়াছে। অনুরূপ মত মানীর নিম্নলিখিত বচনদ্বারা স্বীকৃত হইয়াছে। “অন্যান্য