পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৮

आर्थिांबडें । ७ वर्क्ष-->२ १J ।। هل سوا রক্ষা করিতে প্রয়াস পাইতেছিল। কত নিশায় সে বিনিদ্র হইয়া সুপ্ত ভগিনীর মুখে চাহিয়া কাদিয়াছে ; কিন্তু পাছে সে জানিতে পারে এই আশঙ্কায় তাহার নিদ্রাভঙ্গের পুর্বলক্ষণ দেখিলেই নয়ন মুছিয়াছে—সে জাগিলেই তাহার সহিত হাসিয়া কথা কহিয়াছে। কিন্তু ভগিনীর জন্য দুশ্চিন্তা তাহার হৃদয়ে ভারের মত চাপিয়া ছিল। বিরাজা ভগিনীকে কিছু বলিত না বটে ; কিন্তু সরোজাও যে কিছু কিছু বুঝিত না, এমন নহে। যে অনুভূতি সময়সাপেক্ষ তাহার হৃদয়ে ক্রমে ক্রমে সেই অনুভূতি হইতেছিল। সেও আপনার ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবিতেছিল। তাহারও মুখে চিন্তার ছায়া । সরোজা ভাবিত---কঁাদিত ; কিন্তু কিছুতেই যতীশচন্দ্রকে অপরাধী মনে করিতে পারিত না । বরং কেহ যতীশচন্দ্রের নিন্দ করিলে—তাহার প্রতি ঘূণাসুচক বাক্য প্রয়োগ করিলে তাহার দুই চক্ষু জলে ভরিয়া উঠিত। fকশোরীর অনাবিল প্রেম ধর্ম্মের নামান্তর মাত্র । হৃদয়ে স্বার্থপরতা স্থায়ী স্থানলাত করিবার পূর্ব্বে-প্রেমের পার্থিবভাবের অনুভূতিলাভের পূর্ব্বে-প্রেমে কামনা সঞ্চারের পূর্বে কিশোরীর প্রেম ধর্ম্ম ব্যতীত আর কিছুই নহে। কবির ও সাধকের ভাব ব্যতীত তাহার স্বরূপ উপলব্ধি করা সম্ভব নহে। এই প্রেম বাস্তবের মধ্যে মানব-হৃদয়ের ঈপ্সিত আদর্শের আভাস দান করে। এ প্রেম প্রবঞ্চিত করা মহাপাপ । ইহার ক্রমবিকাশ-সন্দর্শন হৃদয়ে স্বৰ্গীয় আনন্দ প্রদান করে। যখন আমাদের কণ্ঠে কৈশোরের কুসুমহার কালবশে শুকাইয়া যায় - তখনও কৈশোরের প্রেমর্ম্মতি সমুজ্জল রাখিতে পারিলে আমরা ধন্য হইব । তাই সরোজা স্বামীর দোষ দেখিতে পাইত না । উপাসিকা কি কখনও দেবতার ক্রটি কল্পনা করিতে পারে ? সে কল্পনাই যে দেবতার দেবত্ব-বিশ্বাসের বিরোধী ! যতীশচন্দ্র তাহাকে ত্যাগ করিয়াছে, সে আবার বিবাহ করিয়াছে।--কিন্তু সরোজা তাহার দোষ দেখিতে পাইত না । , লোক কেন যতীশচন্দ্রের নিন্দা করে- সে বুঝিতে পারিত না । সে ভাবিত, তিনি যদি আর একজনকে বিবাহ করিয়া থাকেন-আমার উপর বিরক্ত হইয়া থাকেন—তাহাতেই বা তঁহার দোষ কি ? তাহার নিকট যতীশচন্দ্র দেবতা ! যতীশ যে কারণেই হউক তাহার সংবাদ লইতে কুষ্ঠিত হইত। কিন্তু তাহার সংবাদ না পাইলে সরোজা স্থির থাকি৩ে পারিত না । সেই জন্য বিরজার উপদেশে দেবীচরণ যতীশের সংবাদ