$ झ|१ (ट्र भी । bም8 | סלל ל ,53i? একমুষ্টি অন্নের জন্য বাস করিবেন, এ চিন্তা তাহার পক্ষে অসহনীয়। বৃদ্ধা তাহাকে অনেক করিয়া বুঝাইলেন ; কত দৃষ্টান্ত দিলেন। কিন্তু রাধারাণী অটল; সে যে পণ করিয়াছে, তাহা কিছুতেই ভঙ্গ হইবে না। এ সংসারে রাধারাণীর ভালবাসার পাত্র কেহ ছিল না। সে তাহার সরল হৃদয়ে সকলকেই ভালবাসে ; কিন্তু যৌবনের প্রেম কাহাকে বলে, রাধারাণী তাহা কখনও উপলব্ধি করে নাই। সে কৈলাসের ব্যবহারে যথেষ্ট প্রীতি অনুভব করিত। — কৈলাসকে স্নেহ করিত। সে শৈশব হইতে কৈলাসকে খেলার সার্থী জ্ঞানে নেহ করিয়া আসিয়াছে। কিন্তু কোন ও দিন তাহদের উভয়ের মধ্যে প্রণয়ের কোন অভিনয় হইতে দেখা যায় নাই।--কেবল একটা গ্রীতির ভাব ছিল, এই পর্য্যন্ত ৷ কৈলাসের পিতা যখন তাহদের এইরূপে সর্ব্বনাশ সাধন করিতেছিল, তখনও রাধারাণী কৈলাসের ব্যবহারে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে স্নেহ হইতে বঞ্চিত করিতে পারে নাই। কৈলাসও তাহাদের প্রতি যথেষ্ট অনুরক্ত ছিল ; তাহার পিতা যে রাধারাণীর পিতার কুপাতেই গ্রামে বাস করিতে পারিয়াছিল, তাহা সে ভুলে নাই। যাহা হউক, এক দিন বাঞ্ছারাম রাধারণীর ঠাকুরমা’র নিকট উপস্থিত হইয়া নানা প্রকার মিষ্টকথার পর তাহার পুলের সহিত রাধারাণীর বিবাহের কথা উত্থাপিত করিল। বৃদ্ধ ঘূণায় তাহার মুখ হইতে স্বীয় দৃষ্টি অপসারিত করিয়া লইয়া গৃহান্তরে গমন করিলেন। বাঞ্ছারাম অপমানিত হইয়া প্রতিজ্ঞা করিল, তাহাদিগের সর্বনাশ করিয়া তাহাদিগকে গ্রাম হইতে তাড়াইবে । বাঞ্ছারাম জমীর ফসলে ও পাটের চাষে যথেষ্ট লাভবান হইয়া উঠিতেছিল। পাটের দর খুবই চড়া, তাই বাঞ্ছারাম। ধনমদে। এতদূর দৃপ্ত হইয়া উঠিয়াছিল যে, গ্রামের কাহাকেও মনুষ্য বলিয়া সে মনে করিত না । ) و ( কৈলাস ও পাড়ার ডাক্তার বাবু দুদিনে বুদ্ধার সাহায্য করিতেছিলেন। তাহাদের যখনই অন্ন-বস্ত্রের ও ঠাকুরের সেবার অভাব হইত, তখনই কৈলাস ডাক্তার বাবুর সঙ্গে পরামর্শ করিয়া গোপনে সে অভাব পূর্ণ করিয়া দিত। একদিন রাধারণী ঠাকুর-ঘর পরিষ্কার করিতে করিতে ভাবিতেছে, এ কি ? 4히 학f C平 : ("I f A 35 어 সদয় ব্যবহার করে কেন ?--- এমন সময়ে কৈলাস আসিয়া উপস্থিত। রাধারাণী তাহার প্রশান্ত মিথোজ্জল নয়নের দৃষ্টি কৈলাসের মুখে স্থাপিত
