পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩ ৯ । ধ্রুব দর্শন প্রসঙ্গ । е а “প্রাথমিক অবস্থায় আমাদিগের অবিকশিত বুদ্ধি ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র আমাদিগের অপেক্ষ ক্ষমতাপন্ন কতকগুলি ব্যক্তির কল্পনা করিয়া আসিয়াছে ; এবং তাহাদিগকে ভয় করিয়াই হউক কিম্বা তাহাদিগকে পরিতৃপ্ত করিবার জন্যই হউক, আমরা কায করিতে অভ্যাস করিয়া আসিয়াছি। ক্রমে ক্রমে সেই ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তি একজনে দাড়াইয়াছে। ইহুদি, খৃষ্টান, মুসলমান এবং প্রাচীন উপনিষদের ধর্ম সেই একজন ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তিকে লইয়া গঠিত হইয়াছে। কিন্তু কেবলমাত্র একজন কুত্রাপি ধর্ম্মকে সম্পূর্ণভাবে অধিকার করিতে পারে নাই ; ইহুদি, খীষ্টান ও মুসলমানরা। Angel এবং হিন্দুরা ; অনেক দেবদেবী বরাবর বজায় রাখিয়া আসিয়াছেন ; কেবল একজনকে সর্বোপরিস্থ পদ দিয়াছেন, তিনি পরমেশ্বর, বা পরব্রহ্ম বা নারায়ণ ইত্যাদি নানা আকারে চিন্তার বিষয়ীভূত হইয়া আসিয়াছেন। পরব্রহ্ম একেবারে আকাশের মত অচিন্তনীয়, অভাবনীয়, একটি অপরিসীম পদার্থক্কপে চিন্তিত でて羽「F “মনোবৃত্তিসমূহের এক তাপত্তি বলিতে কি বুঝিলে ? যখন যে মনোবৃত্তি মনে প্রবল হয়, যদি আমরা তাহাকেই তখন প্রসর দিই, তাহা হইলে শুধু যে আমাদিগের নিজের মনের শান্তি একেবারে বিলুপ্ত হয় তাহা নহে, মনুষ্যসমাজ একেবারে উচ্ছিন্ন হয় । মনে কর, উপস্থিত অপত্যস্নেহবশতঃ আপনার সন্তানকে এক্ষণে লালন করিলাম, কিঞ্চিৎ পরে কোনও কারণবশতঃ তাহার উপর ক্রোধ উপস্থিত হওয়াতে তাহার প্রাণসংহার করিলাম । যদি সকল বৃত্তিসম্বন্ধে এই ভাবে চলা যায়, তাহা হইলে মনুষ্যসমাজের যে কি তীষণ অবস্থা দাড়ায় তাহা বুঝিতে বড় ক্লেশ পাইতে হয় না। এই জন্যই মনোবৃত্তিদিগের পরস্পর সামঞ্জস্য রক্ষা অত্যাবশ্যক ও অপরিহার্য্য। কোমূৎ বলেন যে, পরিণামে পরের প্রতি মোহ আমাদের যে একটি স্বভাবসিদ্ধ বৃত্তি তাহার উপর নির্ভর করিয়াই সেই সামঞ্জস্য সংস্থাপন করিতে হইবে ; ইহাকে দয়া বলে, করুণা বলে, উপচিকীর্ষ বলে, বিশ্বসংগ্রাহী স্নেহও বলা যাইতে পারে। মানুষ্যের মনোমধ্যে এইরূপ একটি স্বভাবসিদ্ধ বৃত্তি যে আছে সে বিষয়ে আর সন্দেহ করা ਚੋਣ নহে । কতকগুলি একদেশদশী দর্শনকার সেই সন্দেহ করিয়া গিয়াছেন। তঁহাদের মতে পরোপচিকীৰ্ষ আমাদিগের স্বার্থানুসন্ধান হইতেই উৎপন্ন হয়। কিন্তু সেটা যে ঠিক নহে তাহা, বোধ হয়, সহজেই প্রতিপন্ন করা যাইতে পারে। আমরা যতই স্বার্থপর হই না,