পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ ৷৷ ” “অচলায়তনের” আলোচনা । २२. লয়ের শিক্ষকতা করিয়া কেবল পরীক্ষার দ্বারাই সকল ফল নির্ণয় করিতে চান, তাহারা এই জিনিষটার কোনো খবর রাখেন না । আমার মনে পড়ে ছেলেবেলায় আমি অনেক জিনিষ বুঝি নাই। কিন্তু তাহা আমার অন্তরের মধ্যে খুব এক নাড়া দিয়াছে।” ঐ প্রবন্ধের অন্যত্র

  • নিজের বাল্যকালের কথা যিনি ভাল করিয়া স্মরণ করিবেন। তিনিই ইহা বুঝিবেন যে আগাগোড়া সমস্তই সুস্পষ্ট বুঝিতে পারাই সকলের চেয়ে পরম লাভ নহে। আমাদের দেশের কথকেরা এই তত্ত্বটী জানিতেন-সেই জন্য কথকতার মধ্যে এমন অনেক বড় বড় কাণ ভরাট করা সংস্কৃত শব্দ থাকে এবং তাহার মধ্যে এমন তত্ত্বকথাও অনেক নিবিষ্ট হয়। যাহা শ্রোতারা কখনই সুস্পষ্ট বোঝে না। কিন্তু আভাসে পায়-এই আভাসে পাওয়ার DB DBD DBDLSS DB DDBB BBD BB DBBBD DBBDBD BDBD BDBDDBDS DDDD অত্যন্ত কষাকষি করিয়া দেখেন যাহা দেওয়া গেল তাহা বুঝা গেল কি না। বালকেরা এবং যাহারা অত্যন্ত শিক্ষিত নহে তাহারা জ্ঞানের যে প্রথম স্বৰ্গলোকে বাস করে সেখানে মানুষ না বুঝিয়াই পায় -সেই স্বৰ্গ হইতে যখন পতন হয় তখন বুঝিয়া পাইবার দুঃখের দিন আইসে। কিন্তু এ কথাও সম্পূর্ণ সত্য নহে। জগতে না বুঝিয়া পাইবার রান্তাই সকলের চেয়ে বড় রাস্তা। সেই রাস্তা একেবারে বন্ধ হইয়া গেলে সংসারের পাড়ায় হাট বাজার বন্ধ হয় না বটে। কিন্তু সমুদ্রের ধারে যাইবার উপায় আর থাকে না, পর্ব্বতের শিখরে চড়াও অসম্ভব হইয়া উঠে । তাই বলিতেছিলাম, গায়ত্রী মন্ত্রের কোন তাৎপর্য্য আমি সে বয়সে যে বুঝিতাম। তাহা নহে। কিন্তু মানুষের অন্তরের মধ্যে এমন কিছু একটা আছে সম্পূর্ণ না বুঝিলেও যাহার চলে। তাই আমার এক দিনের কথা মনে পড়েআমাদের পড়িবার ঘরে শানবাধান মেজের এক কোণে বসিয়া গায়ত্রী জপ করিতে করিতে সহসা আমার দুই চোখ ভরিয়া কেবলি জল পড়িতে লাগিল । জল কেন পড়িতেছে আমি নিজে কিছুমাত্র বুঝিতে পারিলাম না । অতএব কঠিন পরীক্ষকের হাতে BB DBDD DDBD DBB TDD BBD BDDBS DBBYKS DBBuBBD KuuD DDD DDB যাহার কোনোই যোগ নাই। আসল কথা, অস্তরের অন্তঃপুরে যে কাজ চলিতেছে বুদ্ধির ক্ষেত্রে সকল সময় তাহার খবর আসিয়া পৌছায় না।”

রবীন্দ্রনাথের ধবনির প্রতিধবনি করিয়া তাহার মহাপঞ্চােকও বলিতে পারেন যে “অন্তরের অন্তঃপুরে যে কাজ চলিতেছে বুদ্ধির ক্ষেত্রে সকল সময়ে তাহার খবর পৌছায় না।” বস্তুতঃ রবীন্দ্রনাথ “জীবনন্বতিতে যাহা লিখিয়াছেন তাহা সত্য ও তাহা প্রত্যক্ষ বস্তু ; আর “অচলায়তনে” যাহা লিখিয়াছেন তাহা কাল্পনিক জিনিষ। প্রথমটি প্রত্যক্ষলন্ধ তত্বের সত্যতা প্রকাশ করিতেছে ; দ্বিতীয়টি একটা বিশেষ-মতি সমর্থনের জন্য কল্পনার জয়ধ্বনি করিতেছে। প্রথমটার সাক্ষী রবীন্দ্রনাথের হৃদয়, দ্বিতীয়টার পক্ষে BBLD BD DBBDD DD S S BBES DDDB BBD DDB EED DDD BBK