পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2काई, २७>> 1. अद्विषटलब्र.०ठि बिटवान । సిసి করিয়াছেন ; মধ্যে মধ্যে মন্দির ও বাহা গৃহমালার ধ্বংসস্তাপমাত্র রহিয়াছে। রামচন্দ্র নিকটবর্ত্তী স্থানের জলকষ্ট নিবারণ জন্য প্রায় এক শত পুষ্করিণী খনন করান। তাহার অনেকগুলি প্রকাণ্ড দীঘি। এই বিস্তুত কীর্ত্তিস্থানের এক কোণে বাবু কুঞ্জেশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সপরিবারে বাস করিতেছেন এবং অপর এক কোণে এক মুসলমান ফকির নির্জনে বসিয়া সাধন করেন। সাধারণ লোকের বিশ্বাস, এই রাজবাড়ীর স্তুপসমূহ খনন করিলে অপরিমিত ধনরত্ন পাওয়া যাইবে । (৩) পাতালভেদী রাজার বাড়ী। যশোহর জিলার নবগঙ্গা নদীর তীরে সিঙ্গিয়াহাড়িগড়া গ্রামের সন্নিকটে নয়াবাড়ী মৌজার অন্তৰ্গত প্রান্তরমধ্যে একটি বিস্তৃত চতুষ্কোণ স্থানে অনেকগুলি ঢিপি আছে। স্থানটি ৮৩৩ ফুট দীর্ঘ ও ৭৬২ ফুট প্রশস্ত, উহার চতুঃপাশ্বের্ণ ৯০ ফুট বিস্তৃত একটি পরিখা আছে। উত্তর ও পশ্চিম দিকে এক্ষণে বৎসরের অধিকাংশ সময়ে পরিখায় জল থাকে। এই স্থানটির মধ্যে দুইটি ক্ষুদ্রায়তন পুষ্করিণী, রাজপথ, প্রাচীর ও বহুসংখ্যক ইষ্টকনির্ম্মিত গৃহের চিহ্ন দেখা যায়। খনন করিলে অধিকাংশ স্থানেই ইষ্টক পাওয়া যায়। একটু দূরে নবগঙ্গা নদী স্থানটির তিন দিক এবং নালের গঙ্গা বা যদুখালি উহার পশ্চিম দিক ঘিরিয়া আছে। উক্ত বাড়ী হইতে ৩৫ ফুট বিস্তৃত একটি রাস্ত কয়েক শত ফুট মাত্র দুরে পূর্বমুখে নবগঙ্গার কুল পর্য্যন্ত বিস্তৃত রহিয়াছে। এই রাস্তার মোহানার একটু দক্ষিণে রামচরণ গজী নামক এক ব্যক্তির বাড়ীর পার্থে নবগঙ্গার কুলে । একটি ইষ্টকের খিলানের মুখ দেখা যায়। প্রবাদ, উক্ত দুর্গ হইতে একটি সুড়ঙ্গ পূর্ব্বমুখী হইয়া নবগঙ্গার গর্ভ পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল। রাজার গৃহ ভূগর্ভে নির্ম্মিত হইয়াছিল, তজ্জন্য তঁহাকে “পাতালভেদী রাজা” বলে। রাজার সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞাতব্য অন্য কোন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় নাই। " এই মাত্র শুনা যায়, তিনি একজন শৌণ্ডিতকুলোদ্ভব প্রতাপান্বিত জমীদার। ছিলেন। উক্ত স্থানটি এক্ষণে নড়াইলের জমীদার বাবুদিগের জমীদারীর অন্তর্গত। এ স্থানে যাইতে হইলে খুলনা হইতে মাগুরার ষ্টীমারে সিঙ্গিয়া ষ্টেশনে নামিতে হয়। এই সিঙ্গিয়া রেলওয়ে ষ্টেশন সিঙ্গিয়া নহে। ] (৪) সোণাবিবি রূপাবিবির বাড়ী । খুলনা জিলার বাগেরহাট মহকুমা হইতে ৪ মাইল দূরে প্রাচীন ভৈরব নদের খাতের সন্নিকটে । বাগমারা গ্রামের অপর পারে বিখ্যাত “বাটগুম্বজ” নামক হর্ম্ম্যের অনতিদূরে