পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

` , vo | পরিষদের প্রতিষ্ঠানিবেদন । sdS বট জাতীয় “অচিন” নামক এক প্রকার বিশাল বৃক্ষের ৮/১০টি এই বিস্তৃত স্থানটিকে ঢাকিয়া রাখিয়াছে ; অগ্নিয়ে স্থান বন্যবৃক্ষে জঙ্গলাকীর্ণ হইয়। পড়িয়াছে। এই স্থানে একখানি পর্ণকুটীরে প্রত্যহ দেবীর পূজা হয় এবং কৎসরের মধ্যে বিজয়া দশমীর দিন মহাসমারোহে মহাপূজা হইয়া থাকে। বিজয়তলার জমী নিকটবর্ত্তী স্থান অপেক্ষা স্বল্প উচ্চ। প্রবাদ, ইহার সন্নিকটে বিজয় সেন রাজার রাজধানী ছিল। তিনি এই স্থানে একটি মন্দির নির্ম্মাণ করান। সেই মন্দিরের ভগ্নাবশেষ বিজয়ন্তলায় দেখা যায়। অনেক স্থান খনন করিলে ইষ্টক পাওয়া যায়। পাশ্ববর্ত্তী সেখহাটি গ্রাম বহু পুরাতন বলিয়া বোধ হয়। তথায় কামার পাড়ার উত্তরে চট্টোপাধ্যায়দিগের বাড়ীর সন্নিকটে-“দুদকণ্ঠ” নামক পুষ্করিণীতে এক সময়ে এক অষ্টভূজ গণেশমূর্ত্তি পাওয়া যায়। যাহারা সে গণেশমূর্ত্তি দেখিয়াছিলেন, তঁহাদের অনেকে এখনও জীবিত আছেন। ঐ গণেশমূর্ত্তি নড়াইলের কোন এক জমীদার বাবু নড়াইলে লইয়া যায়েন। এক্ষণে উহা এক বৈটিকখানার দেওয়ালে ইষ্টক গ্রথিত । হইয়া বিরাজ করিতেছে। বহু শত বৎসরপুর্বে এতদঞ্চলে গণেশের পূজাপদ্ধতি প্রচলিত ছিল। এক্ষণে আর সে পদ্ধতি নাই। উক্ত পুষ্করিণীর পশ্চিম-উত্তরাংশে আরও এক ব্যক্তি পুষ্করিণী কাটাইতে গিয়া একটি কৃষ্ণমূর্ত্তি ও একটি গণেশমূর্ত্তি পাইয়াছিলেন। আপাততঃ তাহা কোথায় আছে সন্ধান পাই নাই। খুলুনা জিলায় সেনহাটি গ্রামেও একটি বিজয়তলা ছিল ; সে স্থানও অতি পুরাতন, এবং তথায়ও মন্দিরাদির ভগ্নাবশেষ দেখা যায়। সেটিও কোন বিজয় সেনের কীর্ত্তিচিহ্ন হওয়া বিচিত্র নতুহ। কেহ কি বলিয়া দিতে পারেন, ইনি কোন বিজয় সেন ? আমি আপাততঃ এই কয়েকটি মাত্র স্থানের সংবাদ দিলাম। শুধু সাহিত্য পরিষদকেই সংবাদ দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নহে। যাহারা এই জাতীয় ঐতিহাসিক ব্যাপারে কিছুমাত্র উৎসাহশীল আমি তাহদের সকলকেই আহবান করিতেছি। র্যাহারা পরিষদের সহিত সংশ্লিষ্ট আছেন, তাহারা পরিষদের পক্ষ হইতে-“এ সকল বিষয়ে "তথ্যানুসন্ধান করিয়া পরিষৎ পত্রিকায় ভঁাহাদের সন্ধানফল প্রকাশ করিতে পারেন ; এবং ধাহাদের সহিত পরিষদের এখনও কোন:সম্বন্ধ সংস্থাপনেরী:সুযোগ হয়ঃ নাই। এই সকল স্থান পরিদর্শন করিবার জন্য আমি তঁহাদিগকেও সাদরে আহবান করিতেছি । ਸਲੈਣ ਹ ।