পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

àà Q আর্য্যাধর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-২য় সংখ্যা । দিতে না পারিয়া মিষ্টার দাস কন্যাকে লইয়া কলিকাতায় আসিয়াছিলেন ; কন্যাকে সভা সমিতি সর্বত্র লইয়া যাইতেন ; উদ্দেশ্য-যন্ত সত্বর সম্ভব তাহার বিবাহ দেওয়া । যে কথা চিকিৎসকরূপে আমি জানিতে পারিয়াছিলাম, তাহ ব্যক্ত করিবার অধিকার আমার ছিল না । আমি সে কথা ব্যক্তি করিলেও অন্য প্রমাণের অভাবে তুমি বিশ্বাস করিতে কি না সন্দেহ। অথচ তাহাকে বিবাহ করিলে তোমার জীবন ব্যর্থ-বেদনাময় হুইবে । এ অবস্থায় আমার কি করা কীর্ত্তব্য ? আমি অনেক ভাবিলাম। ভাবিয়া কিছু স্থির করিতে পারিলাম না ।” অমিয়নাথ ও রমা বিস্ময়পুর্ণ নয়নে সুরেন্দ্রকুমারের দিকে চাহিয়া মুহিল । সুরেন্দ্রকুমার যেন অবসন্ন বোধ করিতেছিল। কিন্তু উৎসাহে সে অবসন্নতা দুর করিয়া সে বলিতে লাগিল,-“আমি ভাবিয়া দেখিলাম—তোমার উপর বৃহৎ ও ব্যয়বহুল সংসারের ভার রহিয়াছো-আমায় কেহ নাই। আমি ভাবিয়া দেখিলাম-যখন কোনরূপে কন্যার বিৰাহ দেওয়াই মিষ্টার দাসের উদ্দেশ্য তখন তিনি আমাকেও কন্যাদান করিতে পারেন। বিশেষ সম্পদে তোমার অপেক্ষা আমি অধিক ভাগ্যবান। আমার সঙ্কল্প স্থির হইল । মিষ্টার দাস আমার প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন। তাহার পর-তাহার পর এই দশ বৎসরে স্বাস্থ্য, সুখ, অর্থ সব শেষ করিয়াছি । চারুশীলার সকল যন্ত্রনার অবসান হইয়াছে-আমারও সব যন্ত্রণ শেষ হইতেছে। অমিয়নাথ, আজি কি মৃত্যুর কুলে তোমার বন্ধুত্ব ফিরিয়া পাইব ?” উত্তেজনায় ও শ্রমে অবসর হইয়া সুরেন্দ্রকুমার চক্ষু মুদিত করিল। অমিয়নাথ তাহার মলিন শয্যা পার্থে বসিয়া তাহার বক্ষে মুখ রাখিয়া বিহবল ভাবে কঁাদিতে কঁাদিতে বলিল, “বন্ধু ! বন্ধু! তুমি আমাকে সুখী করিবার জন্য স্বেচ্ছায় গরল পান করিয়াছ ; আর আমি-আমি তোমাকে कि ख्छादिशाछि !” କର সুরেন্দ্রকুমারের আত্মত্যাগের কথা শুনিতে শুনিতে রমা কঁাদিতেছিল । কিন্তু অপ্রত্যাশিত ঘটনার অতর্কিত সংঘটনে রমণী স্বভাবতঃই পুরুষ অপেক্ষা সহজে স্থির হইয়া কর্ত্তব্যনিৰ্দ্ধারণ করিতে পারে। রমা কক্ষদ্বারে দণ্ডায়মান পথপ্রদর্শককে বলিল--"গৃহস্বামীকে ডাকিয়া আন।” ”