পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS 8 vajíjŤ<té ! ৩য় বর্ষ-২য় সংখ্যা । নতুবা অমঙ্গল অবশ্যম্ভাবী। ফকির এইরূপ লিখিয়া আসিয়া কিছুদিন গৃহে বসিয়া রহিল । চেলার নিত্য ভিক্ষায় বাহির হইতে লাগিল । প্রত্যহ এক একটি চেলা বাদসার প্রাসাদে দর্শন দিত। বাদ সাও তাহাদিগের প্রতি সন্তুষ্ট হইয়া কিছু কিছু ভিক্ষাও দিতেন। একদিন একজন চেলা আসিয়া বাদূসাকে অভিবাদন পূর্বক বলিল, “খোদাবন্দ ! গত রাত্রিতে আমি এক স্বপ্ন দেখিয়াছি, আপনার রাজ্যের আয় চতুগুণ বৃদ্ধি পাইয়াছে। মনে হইতেছে না, স্বপ্নে কাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, বাদসার এইরূপ আভু্যদয়। কিরূপে হইল। কিন্তু সে বলিল, বাদস অমুক বনস্থিত একটি বৃক্ষে অঙ্কিত ভগবানের আদেশ পাঠ করিয়া এইরূপ ঐশ্বর্য্যশালী হইয়াছেন ।” এই কথা বলিয়া চেলাটি চলিয়া গেল। বান্দস সেই অরণ্যস্থিত বৃক্ষ অন্বেষণ করিবার জন্য লোক প্রেরণ করিলেন । বহু অন্বেষণে ভূত্যগণ ফিরিয়া আসিয়া সংবাদ দিল যে, বাস্তবিকই আল্লার আদেশ একটি বৃক্ষে লিখিত আছে ; মর্ম্মার্থ এই যে-বাদাসা অমুক ফকিরকে দুই লক্ষ আসরফি দিবেন। বাদাসা কোষ হইতে দুই লক্ষ আসরফি দিতে হুকুম দিতেছেন এমন সময় উজীর বাধা দিয়া বলিলেন যে, বাদাসা ও তিনি স্বয়ং লেখা না দেখিয়া অর্থ দিবেন না । বাদাসা ও উজীর অরণ্যে গমন করিলেন ও বৃক্ষত্ত্বকে লিখিত অংশ পাঠ করিলেন। উজীর বলিলেন “গলতসৎ বিসমিল্লা” অর্থাৎ বিসমিল্লায় গলদ । বাদসা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন ?” উজীর উত্তর করিলেন, “মানুষ কিছু লিখিলে প্রথমই বিসমিল্লা প্রভৃতি লিখিয়া থাকে ; কিন্তু আল্লা যদি লিখিবেন তাহা হইলে তিনি আল্লা কেন লিখিবেন ?” বাদাসার আদেশে ফকিরের প্রতি শাস্তি বিধানের ব্যবস্থা হইল। উৎপত্তিরিয়মন্ত প্রবাদস্য । ** * . ፪ শ্রী বিমলাচরণ লাহা ।