পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩১৯ । ম্যালেরিয়া ও তাহার প্রতিকার । °S b”ዓ করিবে তাহ সহজেই শরীর রক্ষী কণিকা ও রসের সাহায্যে বিনষ্ট হইবে ; কিন্তু যদি এককালে একশত মশক দংশন করে, তাহা হইলে বীজাণুর সংখ্যা এত অধিক হইতে পারে যে, কণিকা ও রস তাহাদিগের কতকগুলিকে বিনষ্ট । করিতে পারিলেও ষেগুলি অবশিষ্ট থাকিবে, তাহারা রোগ সৃষ্টি করিবে । অথবা ইহাও হইতে পারে যে, শরীরের কোনও দুর্বল অবস্থায় শরীরস্থ রসের শক্তি এত অল্প থাকিতে পারে যে, তখন অতি অল্পসংখ্যক বীজাণুই রোগ উৎপাদনে সমর্থ হইবে । পণ্ডিতগণ ইহাও প্রমাণ করিয়াছেন যে, শরীরের এই জীবাণু ও বিষদোষনাশক ক্ষমতার অনেকটা বৃদ্ধি করা যাইতে পারে। সকলেই জানেন, কোন লোককে যদি এক ভরি পরিমিত আফিং খাওয়ান যায়, তাহা হইলে সেই ব্যক্তি নিশ্চয়ই পঞ্চােত্ব প্রাপ্ত হইবে । অহিফেনের বিষ তাহার শরীরে প্রবেশ করিয়া শরীরের রসের বিষনাশক শক্তির সহিত সংগ্রামে প্রবৃত্ত হইবে । কিন্তু রসের শক্তি তখনও সম্যক জাগ্রত হয় নাই, কাযেই দেহ উক্ত বিষের শক্তি অতিক্রম করিতে পরিবে না । কিন্তু যদ্যপি ঐ ব্যক্তি প্রথম বারে অল্প মাত্রায় আফিং সেবন করে,তাহা হইলে তাহার শরীরের রসের অহিফেনের বিষপ্রতিষেধক গুণ উক্ত বিষের সহিত যুদ্ধ করিয়া উহাকে পরাভূত তা করিবেই ; অধিকন্তু উহা পরদিন আরও অধিক অহিফেনবিষের সহিত যুদ্ধ করিবার সামর্থ্য সঞ্চয় করিবে ; এবং দিন দিন অহিফেনের মাত্রা বাড়াইয়া তাহার রসের বিষপ্রতিষেধক সামর্থ্য এত বাড়িয়া যাইবে যে, সে কালে বহু মাত্রায় আফিং সেবন করিতে পরিবে । আমাদের দেশের অনেক লোকের বিশ্বাস যে, ম্যালেরিয়া জর যদি কুইনাইন সেবন না করিয়া সারান যায়, তাহা হইলে সেই আরোগ্য অধিক দিন স্থায়ী হয়। লোকের এই বিশ্বাসটি অসঙ্গত নহে। শরীর যদি অন্যসাহায্যনিরপেক্ষ হইয়া স্বীয় রসের ও রক্তকণিকার বীজাণু ধ্বংশকারী শক্তির দ্বারা আপনাকে আরোগ্য করে, তাহা হইলে উহার ঐ শক্তির এরূপ বিকাশ হইবে যে, পরবারে আরও অধিক সংখ্যক জীবাণ, উহাকে পরাভূত করিতে সমর্থ হইবে না । মানবশরীর এইরূপে আত্মরক্ষার শক্তি সঞ্চয় করে। বলিয়া যে সকল রোগ প্রথম প্রথম কোনও দেশে ভীষণ মূর্ত্তিতে দেখা দেয়, কিয়াৎকাল সেই দেশমধ্যে অবস্থানের পর তাহদের ভীষণত্ব অনেক পরিমাণে কমিয়া যায় । এই কারণেই দেখা যায় যে, ম্যালেরিয়া যখন প্রথম বঙ্গদেশে আসিয়াছিল তখন উহার যেরূপ ভীষণ মারাত্মক শক্তি ছিল, এখন আর