পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ofo, os zrasiroti e vteto eföosto xxx জীবাণ, রক্তরসের দ্বারা বিনষ্ট হয় না। তাহারা সহজেই কোষগণের মধ্যস্থ রসের দ্বারা বিনষ্ট হইবে । (২) শরীরের রক্তের আয়তন সকল সময়েই প্রায় নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে । উহার মাত্রা যদি অধিক হয়, তবে রক্ত হইতে জল প্রস্রাবে বা ঘর্ম্মে বাহির হইয়া যায়। কিম্বা কোষমধ্যস্থ স্থানসমূহে প্রবেশ করে। তদ্রুপ রক্তের পরিমাণ কমিয়া গেলে উহা হয় উন্দর’ হইতে জল শোষণ নহে ত কোষমধ্যস্থ রসকে আকর্ষণ করিয়া নিজের নির্দিষ্ট পরিমাণ পুর্ণ করে। ঐ কারণে দেখা যায় যে, লোকের রক্তস্রাবের পর অত্যন্ত অধিক তৃষ্ণা পায়। শরীরের রক্তের পরিমাণ-হয় উদর হইতে জল গ্রহণ করিয়া পূর্ণ হইবে, নহে ত কোষমধ্যস্থ রস রক্তে আসিয়া উপনীত হইয়া রক্তের মাত্রা পুর্ণ করিবে। রক্তের সহিত রসের সংযোগ হইলে এই মিশ্র পদার্থের যে রোগের জীবাণ, বিনাশ করিবার শক্তি সম্যক বৃদ্ধি পাইবে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। এই কারণে পূর্বে রক্ত মোক্ষণের ফলে অনেক রোগ আরোগ্য হইত। উপবাসে রোগ আরোগ্য হইবার কারণও ঐরূপ । রক্তের অংশ ক্রমাগত নানা কার্য্য করিয়া ক্ষয় হইয়া যাইতেছে। সাধারণতঃ পাকস্থলী হইতে পরিপক্ক খাদ্য সংগ্রহ করিয়া রক্তের ঐ ক্ষয়ের পূরণ হয়। কিন্তু উপবাসের ফলে আর উহার উক্তরূপে ক্ষতিপূরণের সম্ভাবনা থাকে না। কাষেই রক্ত তখন কোষমধ্যস্থ রস টানিয়া বাহির করে। কোষের রস চলিয়া যাওয়ার ফলে কোষগুলিও শুষ্ক ও রসহীন হইয়া পড়ে । ইতোমধ্যে কোষারস রক্তের সহিত সংযুক্ত হইয়া শরীর আক্রমণকারী রোগ বিনষ্ট করে। রক্তের কিয়দংশ যে রক্তবাহী নলগুলি হইতে বাহির হইয়া রসে( Lymph ) পরিণত হয়, তাহা শারীরবিধান শাস্ত্রের অতি স্থল কথা। এবং রসের কিয়দংশও যে রক্তের দিকে আইসে, তাহাও শারীরবিধান শাস্ত্রে বিশেষ করিয়া জানা থাকিলেও, এই ঘটনা যে দেহকে রোগ হইতে রক্ষা করিবার পক্ষে বিশেষরূপে সহায়তা করে, তাহা সাধারণ্যে সবিশেষ প্রচারিত হওয়া প্রয়োজন । মাঝে মাৰে উপবাস শুধু যে ম্যালেরিয়ার আক্রমণ হইতে উদ্ধায় পাইবার উপায় কিম্বা ম্যালেরিয়া আরোগ্য করিবার উপায়, তাহাই নহে ; শারীরিক সমুদায় ব্যাধিই উপবাসদ্বারা আরোগ্য হইবার সম্ভাবনা । উপবাসে ব্যাধিদ্বারা আক্রান্ত হুইবার সম্ভাবনারও হ্রাস হয়। কারণ, উপবাসক্লিষ্ট দেহের রক্তে রসাধিক্য থাকা প্রযুক্ত উত্থার জীবাণনাশের ক্ষমতা অধিক , উহা যে কোনও