পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

백t, ss》s প্রত্যাবর্ত্তন । SÓዓ রোগীকে জিজ্ঞাসা করিতেন, “কেমন, আছ ?” বলিতেন, “ও অল্পদিনের মধ্যেই সারিবে। ভয় কি ?” রামশরণ আশার সন্মোহন ছবি দেখিতেন। তঁহার কোটিরপ্রবিষ্ট চক্ষুদ্বয় আবার উদভাসিত হইয়। উঠিত । ] ( t ) ট্রেণে দুর্ঘটনার পর এক বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। মেদিনীপুর জিলায় একখানি গণ্ডগ্রামের অপ্রশস্ত নির্জন পথে শ্রান্ত পদবিক্ষেপে একজন পথিক গমন করিতেছিলেন। তখন শুক্লপক্ষের মেঘবিনির্ম্মত্ত পঞ্চমীর চন্দ্র পশ্চিমগগনে মান হইয়া আসিয়াছিল, বিল্পীরবমুখরিত পল্পীপথ কোথাও আম্রবনের মধ্য দিয়া, কোথাও প্রান্তরের কিনারা দিয়া, কোথাও বা গৃহস্থের আঙ্গিণা দিয়া স্নায়ুর ন্যায় গ্রামের সমস্ত কলেবরটিকে ব্যাপিয়াছিল। সেই পল্লীপথ বহিয়া শ্রান্ত পথিক অনন্যমনে গমন করিতেছিলেন । পল্লী যেন স্পন্দহীন, নিস্তব্ধ এবং বিজন । মধ্যে মধ্যে দুই একটি কুকুর অশ্রান্তভাবে ভাকিয়া ডাকিয় তাহার প্রত্যুদগমন করিয়া নিরস্ত হইতেছিল। অবসাদবিবশী যামিনী যেন সুবৃহৎ কৃষ্ণবর্ণ পক্ষদ্বয়ে অৰ্দ্ধব্রহ্মাণ্ডের প্রাণিকুলকে আবৃত করিয়া সুখে নিদ্রা যাইতেছিল। একাকী পথিক সেই অন্ধ নিস্তব্ধতা অতিক্রম করিয়া চলিয়াছিলেন। তঁাহার। আপাদমস্তক মলিন বসনে মণ্ডিত । শরীর দীর্ঘ কিন্তু কঙ্কালাবিশিষ্ট । পদবিক্ষেপ শ্রান্ত অথচ অস্থির, তাহাতে 6यन् ६अड्बद्ध डांद विछभां- । পথিক রামশরণ ; হাসপাতাল হইতে মুক্তিলাভ করিয়া আশাভরে আজ গৃহে ফিরিতেছিলেন। কল্পিত সুখের চিত্তোন্মত্তকারী মোহ সময়কে দীর্ঘ বলিয়া প্রতীতি জন্মাইতেছিল। তঁহার মনোরথ বহু পূর্বে ছটিয়া চলিল, আর তঁহার সদ্যারোগবিমুক্ত খঞ্জ দেহ বহু পশ্চাতে পড়িয়া রহিল। - রামশরণ যখন তঁহার গৃহপ্রাঙ্গণে উপস্থিত হইলেন, তখন তঁহার শরীর অবসর হইয়া পড়িয়াছিল। তঁহার গৃহের অঙ্গিনা তৃণসমাচ্ছাদিত, সংস্কারাভাবে গৃহগুলি হতশ্রী। কিন্তু এ সকল ভঁাহার আশা-আশঙ্কা-সংক্ষুব্ধ হৃদয়ে স্থান পাইল না। মধ্যরজনীর সেই অপার্থিব নিস্তব্ধতা সেই বিরল গৃহ প্রদেশে তঁহাকে প্রপীড়িত করিতেছিল, এবং অমঙ্গলের আভাস যেন তাহার হৃদয়কে অধিকার করিয়া ফেলিবার চেষ্টা করিতেছিল। প্রাঙ্গণে গিয়া কাহাকেও ডাকিবেন, সে শক্তি যেন তাহার ছিল না। কণ্ঠস্বর নিরুদ্ধ। ইতস্ততঃ চাহিয়া একটি জানালার অলোকরশ্মি দেখিয়া ভঁাহার প্রাণে একটু আশার সঞ্চার $ ”