পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ अपूछे-ष्क २> সে ঘরে তোরঙ্গ গুছান শেষ করিয়া দালানে আসিলেই জ্যেষ্ঠ বধু বলিলেন, “শুনেছি, ঠাকুরবি, হাল আইনে তোমাদের পুরাতন ব্যবস্থা আর চলিবে না।” বিরাজা হাসিয়া বলিল, “কি বড় বৌদিদি ? তোমার কি সোজা কথা বলিতে নাই ? “কি করি বল, ঠাকুকি, আমরা বঁকা মানুষ ঠাকুর জামাইয়ের মত সোজা। কথা কোথায় পাইব ?” মধ্যম বলিলেন, “তুমি শুনি নাই ?” বিরজা বলিল, “কি ?e “নুতন ঠাকুর জামাই যে উপস্থিত!” . বিরজা বিস্মিত ভাবে ভ্রাতৃজায়ায় দিকে চাহিল। " জ্যেষ্ঠা বলিলেন, কেমন, ঠাকুরবি-এ ব্যবস্থা নুতন কি না ? আমাদের এক ঠাকুর জামাই ত বিদেশে বিদেশেই ঘুরেন, আর একজন পড়ার ছুতা করিয়া এ পাড়া মাড়ান না ; এবার আবার আর এক রকম দেখা গেল । বলে ‘কালে কালে দেখােব কত! দেখে দেখে হ’লাম হত ।” दिक || १° বিরাজা বলিল, “তা, বড় বৌদিদি, নূতন রকম দেখাই ত ভাল। এখনই হত হইবে কেন ? বালাই ।” 通 যখন তিনজনে এইরূপ কথোপকথন হইতেছিল, তখন তাহার সেজ বৌদিদির সঙ্গে সরোজ ঘাট হইতে ফিরিল। তাহাকে দেখিয়া বড় বধু বলিলেন, “সরোজা, আহলাদে যে আর মাটীতে পা পড়ে না !” সরোজা সহসা এ মন্তব্যের কারণ অবগত ছিল না-বুঝিতেও পারিল না। সে জিজ্ঞাসা করিল-“কি, বড় বৌদিদি ?” ዯ፡ বড় বধু বলিলেন, “বাহিরে যাইয়া দেখা।” সরোজা ও সেজবৌ চলিয়া গেলে বড় বধু মধ্যমাকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “তা দেখ, ভাই, যদি এবার সরোজা হইতে সেজবৌয়ের অপবাদ ঘুচে । আমার তা বোধ হয় এবার তাহার দোসর জুটিল।” মধ্যম হাসিলেন। ‘ · বিরজার মুখে কিন্তু একটু ভাবনার ভাব, ফুটিয়া উঠিল। সরোজার বিবাহের রাত্রিতে গৃহে বিপুল আনন্দোৎসবের মধ্যে তাহার মুখে যে