Veto, se জীবন-সংগ্রামে সহায় । * SO8Nტ আহারার্জনের জন্য যে আহব তাহা অতি ভয়ঙ্কর। এ ক্ষেত্রে যাহারা সর্ব্বাপেক্ষা বলবান এবং চতুর তাহারাই সমস্ত খাদ্য নিঃশেষ করিয়া পুষ্টিলাভ করে। দুর্বলরা খাদ্যাভাবে প্রাণত্যাগ করিতে বাধ্য হয়। যাহা হউক। এ বিষয়েও জীবের কষ্ট কতকটা লাঘব করিবার জন্য, প্রকৃতি দেবী কিঞ্চিৎ মনোযোগ করিয়াছেন। কতকগুলি বিভিন্ন জন্তু, যদিও তাহারা একশ্রেণীর নহে তথাপি তাহাদের মধ্যে অনেক সাদৃশু আছে --- একই খাদ্যের উপর নিভাির করে না । এই প্রকারের কতকগুলি পক্ষীর মধ্যে যাহারা আকারে বড়, তাহারা একটু বড় আকারের কীট ভক্ষণ করিয়া থাকে । আবার যে সকল পক্ষী তাহদের অপেক্ষা আকারে একটু ছোট তাহারা ক্ষুদ্রতর পতঙ্গাদির দ্বারা জীবন ধারণ করে। আবার দেখা যায় যে, শীত ঋতুর আগমনের সঙ্গে যখন আহার্য্যের অভাব উপস্থিত হয়, তখন অনেক জীব ( সৰ্প, ভেক, কতিপয় জাতীয় ইন্দুর ইত্যাদি ) তাহাদের আহারান্বেষণ পরিত্যাগ পূর্বক নিশ্চেষ্টভাবে এক প্রকার সুপ্ত অবস্থায় কালব্যাপন করে। এ অবস্থায় তাহদের নিশ্বাসপ্রশ্বাস এবং হৃৎপিণ্ডের ক্রিয়া অতি ধীরভাবে সম্পাদিত হয় বলিয়া শক্তির অপচয় অতি অল্প । প্রগুপার্জিত শক্তির সাহায্যে তাহারা কোন প্রকারে সজীব থাকে মাত্র । যখন আবার গ্রীষ্ম ঋতু উপস্থিত হইয়া তাহাদের আহারের অয়োজন করিয়া দেয়, তখন তাহারা বুভুক্ষিতু অবস্থায় ভীষণ ভাবে বাহির হইয়া পড়ে এবং বিচার বিতর্ক না করিয়াই খাদ্যবস্তু যাহা সন্মুখে পায় তাহাই ভক্ষণ করিতে থাকে । এই সময়ে তাহদের জিঘাংসা অত্যন্ত প্রবল। এই সময়ে যুদ্ধ অতি প্রচণ্ড । এই যুদ্ধে যে জয়ী হইতে পারে সে-ই কিছুদিন পৃথিবীতে অবস্থান করে । , পহ্মীদিগের মধ্যে অনেকে যখন কোন স্থানে বা সময়ে আহার্য্যের অভাব হয় তখন দলবদ্ধ হইয়া তাহদের জীবন রক্ষার অনুকুল স্থানে গমন করিয়া Qt এতদ্ব্যতীত জীবন-রক্ষার অসংখ্য উপায় বিদ্যমান। এইরূপে আক্রমণ ও আত্মসংরক্ষণের বিবিধ উপায়ের সমষ্টি লইয়া, জন্ম ও মৃত্যুর সমবায় লইয়া, জগৎ চলিতেছে। ইহাই প্রকৃতির উদ্দেশ্য অথবা লীলা । , শ্রীউমাপতি ৰাজপেয়ী । gubmana
