পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ । , অদৃষ্ট-চক্র । - २९ আশঙ্কা প্রশমিত হইল ; সে আশার আশ্রয় হইল। স্বামীর কথাতেই তাহার বিশ্বাস । জগতে যে প্রেমে এইরূপ বিশ্বাস লাভ করিতে পারে না- তাহায় मऊ फूर्डशायाद्र नांछे। নবম পরিচ্ছেদ, পতিগৃহে। • “মা তুমি এত সকালে উঠিয়া কায করিতে আসিলে কেন ?” প্রভাতে দিবালোক কেবল ফুটিয়া উঠিয়াছে। বিরজার শ্বাশুড়ী স্নান করিয়া ঠাকুর ঘর মুছিয়া-সো ঘরের বাসনগুলি গঙ্গাজলে ধৌত করিয়া আসিয়া দেখিলেন, বিরজাও মান করিয়া আসিয়াছে—দালানে কুটনা কুটিবার উদ্যোগ করিতেছে। দেখিয়া তিনি বলিলেন, “মা, তুমি এত সকালে উঠিয়া কায করিতে আসিলে কেন ?” বিরজা কোন উত্তর দিল না, কুটন কুটিতে বসিল । বিরাজ মাতৃহীনা-শ্বাশুড়ীর কন্যা নাই। উভয়ের মধ্যে স্নেহসম্বন্ধ এমন । নিবিড় ও সুমধুর হইয়া উঠিয়াছিল যে, শ্বাশুড়ী যেন পুত্রবধূতে কন্যা ও পুত্রবধু যেন শ্বাশুড়ীতে জননী লাভ করিয়াছিলেন। উভয়ের এই সুমধুর মোহসম্বন্ধে ব্রজেন্দ্রের আনন্দের আর অন্ত ছিল না । সে এতদিন অধ্যয়ন লইয়া স্বেচ্ছায় আপনাকে সংসারের সুখ হইতে বঞ্চিত রাখিয়াছিল। আজ যেন তাহার ব্রত উদযাপিত হইয়া গিয়াছে। আর আজ যখন সে সংসারে প্রবেশ করিয়াছে তখন সে দেখিতেছে-ফাস্তুনে প্রকৃতি যেমন আপনার কুসুম সুষমা-ভ্রমরগুঞ্জন---মেঘমুক্ত আকাশ-পরিপূর্ণ সৌন্দর্য্য লইয়া বসন্তের জন্য অপেক্ষা করে সংসার তেমনই তাহার সুধাপুর্ণ ভাণ্ড লইয়া তাহার জন্য অপেক্ষা করিতেছে। জননীর স্নেহে সে অভ্যস্ত-জননীর মেহের সে ব্যতীত অন্য অবলম্বন নাই । পত্নীর প্রেমে সে আপনাকে ধন্য মনে করিতেছিল। আর শ্বাশুড়ীবন্ধুতে এই নিবিড় স্নেহে যেন তাহার সুখপাত্র ছাপাইয়া পড়িতেছিল। সংসারের প্রবেশ পথেই সংসারের এমন মোহন মুর্কি দর্শন সকলের ভাগ্যে ঘটে না । 感