পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9N . আর্য্যাবর্ত্ত ।। ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা । যাহা হউক, অষ্টেও নগরী। আর অধিক দূরে ছিল না। সেই সময় আকাশ ও সমুদ্রে ষে একটি অপূর্ব চিত্র পরিস্ফাট হইয়াছিল তাহা তুলিকার সাহায্যে অঙ্কিত করা কোন রূপেই সম্ভবপর নহে। মান বরচনায় প্রায়শঃ বৈপরীত্যের সমাবেশ দৃষ্ট হইয়া থাকে। সেই কারণে চিত্রকররা প্রকৃতি দেবীর সর্বাপেক্ষা সমুজ্জল দৃশ্যগুলি স্ব স্ব শিল্পকলার জন্য নিয়োজিত করিয়া থাকেন। সাধারণ দৃশ্যগুলিতে যে সুমহান কবিত্ব অস্তনিহিত আছে, তাহা এই শ্রেণীর শিল্লিরা কখনও স্ব স্ব শিল্পসাহায্যে প্রকটিত করিতে সাহসী হয়েন না । অপিচ মানবের হৃদয়বেগ নিন্তকুতা ও ঝটিকাসঙ্ঘাত প্রভৃতি বিষম ব্যাপারের দ্বারা সমভাবেই আলোড়িত হইয়া থাকে। নৌকারোহিগণ নিৰ্বাক নিম্পন্দ ভাবে অন্ততঃ কিয়ৎক্ষণের জন্য আকাশ ও সমুদ্রের বিচিত্রবর্ণসমাবেশ নিরীক্ষণ করিয়াছিলেন । এই ক্ষণিক তুষ্ণীভাব শুধু বিপদের পূর্বাভাস প্রসূত কিম্বা কেবল সন্ধ্যাকালীন বিষাদ ভাবপ্রণোদিত তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন। বাস্তবিক দিব্যাবসানে যখন প্রকৃতি দেবী নিস্তদ্ধ ভাব ধারণ করেন, যখন দেবালয়ে ঘন্টাধ্বনি ব্যতীত অন্য কোন ও শব্দ শ্রুত হয় না। তখন মনে স্বভাDBD sBDB CDDBBDBDD D BBDBDSDLDBBD BDBBDD DDKS সমুদ্রািজলে এক প্রকার ঈষৎ শ্বেতাভ দীপ্তি প্রকাশ পাইতেছিল, তাহা সত্বরই আয়স্কাস্তিতে পরিণত হইয়া গেল। আকাশের অধিকাংশই ধুসরবর্ণে সমাবৃত। কেবল পশ্চিমাশার কিয়দংশ যেন রক্তোর্ম্মিমালায় সমাচ্ছন্ন বলিয়া প্রতীয়মান হইতেছিল। পূর্ব্বা কাশে সুক্ষ্ম তুলিকাঙ্কিত রেখার ন্যায় কয়েকটি দীপ্তিময় কিরণলেখা কয়েকখণ্ড মেঘকর্তৃক বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল। এই মেঘগুলি লোলচর্ম্ম বৃদ্ধের কুঞ্চিত ললাটত্বকের ন্যায় স্তরে স্তরে সুসজ্জিত। আকাশ ও সমূদ্রের পশ্চাদ্বার্ত্তী প্রায় সমুদায় স্থানই এইরূপ ধূসরাভ অপরিস্ফটি বর্ণেরঞ্জিত বলিয়া মনে হইতেছিল এবং অস্তমিত সূর্যের ক্ষীণ রক্তিমাভা যেন অশুভ উজ্জ্বলতার সহিত দীপ্তি পাইতেছিল। বাস্তবিক প্রকৃতি দেবীর এরূপ আকৃতি দেখিলে কাহার মনে ভয়ের সাকার না হয় ? চালিত কথায় যে সকল অতিশয়োক্তি ব্যবহৃত হয়, লিখিত BBDLL BD BBK SBDBD DLDD DDKS DDDL KLSLES BDDK SBBD BDBDBDS মূর্ত্তি ধারণ করিয়াছিল এবং কালস্রোতঃ ভীষণ বেগে ঘূর্ণাবর্ত্তের ন্যায় প্রবাহিত হইতে ছিল। হঠাৎ পশ্চিমাকাশে ঝটিকার আবির্ভাব সুচিত হইল। নৌকাধ্যক্ষ প্রতিক্ষণেই * সতর্কভাবে সমুদ্রের ভাবভঙ্গি লক্ষ্য করিতেছিলেন। দিকুবলয়প্রান্তে জলোচ্ছাসের আবিভাব দর্শনমাত্র তিনি উচ্চৈঃস্বরে সতর্কতাসূচক চীৎকার করিয়া উঠিলেন । এই চীৎকার শ্রবণমাত্র নাবিকরা ক্ষেপণী ত্যাগ করিলা । আগস্তুকের পাশ্ববর্ত্তিীর্ণ শী নবীন তাহার শিশু পুত্রটিকে বক্ষে ধারণ করিয়া কাতর স্বরে কহিল, “আজি এ বিপদে কে আমার শিশুটিকে রক্ষা করিবে ?” আগস্তুক কহিলেন, “কেন, তুমিই তোমার সন্তানকে রক্ষা করিবে।” অপরিচিতের এই সাস্তুনা বাক্য, জননী-হৃদয়ের অন্তস্থলে প্রবেশ করিয়া যেন স্বতঃই আশায় সঞ্চার করিয়া দিল। ঝটিকার ভীষণ গর্জন ও আরোহিগণের আর্তনাদ সত্ত্বেও সেই সুমিষ্ট আশ্বাসবাণী তরুণীর কর্ণকুহরে। সদাই ধ্বনিত হইতে লাগিল। শ্রেষ্ঠী মহাজন ঊাহার স্বর্ণমুদ্রাপূির্ণ মুদ্রাধারের উপর নতজানু হইয়া প্রার্থন।