পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ । মিজানগরের ধ্বংসাবশেষ। ' a० অবস্থান করিতেন। তঁহার উত্তরাধিকারী মিবু খালিলও নাজিমপদে অধিরূঢ় ছিলেন। তঁহার দুই পুত্র-একজনের নাম দায়িমুল্লা, আর একজনের নাম করিমুল্লা । তাহারা অপ্রাপ্তবয়স্ক বলিয়া নবাবীপদ প্রাপ্ত হয়েন নাই, সেই জন্য কলহ করিয়া পরস্পরকে নিহত করেন। সেই সময় সুজা খ বঙ্গের নবাব হইয়া আইসেন এবং মুর্শিদাবাদে গাদী স্থাপিত করেন। সম্রাটের আদেশে আমরা দুইজন তথায় আহত হই। কিন্তু আমাদের ভরণপোষণের জন্য কিছুই করা হয় না, সুতরাং আমরা মির্জানগরে ফিরিয়া আসিয়া আমাদের যথাসর্বস্ব বিক্রয় করিয়া ফেলি। যে রাজা আমাদিগের পূর্বপুরুষের নিকট জমীদারী পাইয়াছিলেন। তিনি এতদিন আমাদের গ্রাসাচ্ছাদনের উপায় করিতেন। তিনি নিঃস্ব হইয়াছেন—এক্ষণে আপনারাই আমাদের আশ্রয়স্থল।” * কালেক্টরের অনুরোধে এবং আবেদনকারীদ্বয়ের কথার উপর বিশ্বাস স্থাপন করিয়া গবমেণ্ট হিদায়াৎ ও রহমৎকে ১০.০১ টাকা বৃত্তি দিবেন। বলিয়া স্বীকৃত হয়েনি। কিন্তু তঁাহারা অধিক দিন উক্ত বৃত্তি ভোগ করিতে পায়েন নাই। তঁহার কিয়াৎকাল পরেই প্রাণত্যাগ করেন । এখন দেখা যাউকু, উল্লিখিত আবেদনপত্র হইতে কোনও ঐতিহাসিক अठJ ७९g द७ या कि ना । ঔরঙ্গজেব তঁহার ধর্ম্মভ্রাতাকে বঙ্গদেশের নবাবনাজিমপদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন ইহা সত্য বটে, কিন্তু তাহার নাম নুবুউল্লা নহে-ফিদৈ খাঁ । তিনি ১৬৭৭ হইতে ১৬৭৮ খৃষ্টাব্দের মধ্যে বর্তমান ছিলেন। সুতরাং, আবেদন পত্রে যে লিখিত আছে, নুরুউল্লা ঐরঙ্গজেবের ধর্ম্মভ্রাতা ছিলেন ইহা সত্য কি না সন্দেহ ; থাকিলেও তিনি কোন দিন বঙ্গদেশের নবাবनांख्भि छिgलन न। আমরা দেখিতে পাই যে, ১৬৯৬ थछेiएक यथन खैब्रक्रक्चय झिौव्र সিংহাসনে অধিরূঢ় ছিলেন, তখন শোভা সিংহ নামে একজন হিন্দু জমীদার । এবং রহিম খা নামে উড়িষ্যা হইতে আগত পাঠানসর্দার বঙ্গদেশে এক বিদ্রোহানল প্রজালিত করিয়া বৰ্দ্ধমান, হুগলি ও মুর্শিদাবাদ জিলার বিভিন্ন স্থান লুণ্ঠন করিতে থাকেন। তখন বঙ্গের নবাব ঢাকায় ছিলেন। তিনি যশোহরের ফৌজদার নুরুউল্লাকে বিদ্রোহ দমনে প্রেরণ করেন। - ug:

  • Report on the District of Jessore (1874).