পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఉe - আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা। সুবৃউল্লা তিনি সহস্ৰ অশ্বারোহী সৈন্য লইয়া হুগলি গমন করেন এবং এক স্থানে শিবির সন্নিবেশ পূর্বক বিদ্রোহী সেনার আগমনের অপেক্ষা করিতে থাকেন। কিন্তু বিদ্রোহী সৈন্যদল হুগলি আক্রমন করিলে নুবুউল্লা ভীত হইয়া রজনীযোগে নৌকারোহনে যশোহরে পলায়ন করেন। এই নুরুউল্লা যে আবেদিন পত্রেউল্লিখিত নুরুউল্লা, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। সুতরাং মির্জানগরীই যশোহরের ফৌজদারের আবাসস্থান ছিল। সম্ভবতঃ তিনি বর্ণিত “নবাব বাড়ীতে।” বাস করিতেন, এবং তঁহার সৈন্যগণ “কিল্লাবাড়ীতে” অবস্থান করিত । আবেদন পত্রে যে সুজাখার উল্লেখ আছে, তিনি ১৭২৫ খৃষ্টাব্দ হইতে ১৭৩৯ খষ্টাব্দ পর্য্যন্ত নবাব ছিলেন। প্রকৃতপক্ষে ইনি ‘সুজার্থ।” নহেন “সুজাউদ্দিন’ । সুজাউদ্দিন মুর্শিদকুলি খাঁর জামাতা। ১৭২৫ খিষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু হইলে সুজাউদ্দিন বঙ্গদেশের নবাব হয়েন। বঙ্গদেশের ফৌজদারগণের লোপ একশত বৎসর মাত্র হইয়াছে, কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয় এই যে, এই সময়ের মধ্যেই তঁহাদের কথা বিস্মৃতির অতলগর্ভে নিমজ্জিত হইয়া গিয়াছে। যে কিশোর খ্যার কথা এদেশে প্রচলিত, তিনি একজন ভয়ানক দুৰ্দান্ত জমীদার ছিলেন । 温 বলিনে মুদ্রিত ‘ক্ষিতীশবংশাবলী চরিতে’ মিজানগরের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । মির্জানগর যশোহরের ফৌজদারের আবাস বলিয়া বর্ণিত श्शigछ । মির্জানগরের দক্ষিণে নুরুউল্লানগর ও পুর্বে নুবুউল্লাপুর নামে দুইটি গ্রাম দেখিতে পাওয়া যায়। আমার বোধ হয়, এই দুই গ্রাম যশোহরের ফৌজদার নুরউল্লার নামে ঐ অ’ খ্যা প্রাপ্ত হইয়াছিল ! * শ্রীননীগোপাল মজুমদার। Statistical Account of Bengal vol ii P. 2 o 8