পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা । نواچه নবীন প্রসঙ্গ । • quamoggumbonisminum R আর এক দিনের কথাবলিতেছি । মাঝে মাঝে আমি প্রায়ই নবীন বাবুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করিতে রাণাঘাটে আসিতাম। নবীন বাবু আমাকে বিশেষ স্নেহ করিতেন। সে স্নেহ আকৃত্রিম আন্তরিকতাপরিপূর্ণ। তাহাতে মহৎ ও ক্ষুদ্রের মধ্যে ব্যবধান-পার্থক্য ছিল না । সে মেহকে সৌহার্দের নামান্তর বলিলে অন্যায় হইবে না । তাহার সহিত সকল কথাই হইত । সে দিনও কোনও এক পর্বদিন । আদালত বন্ধ । সকালের টেনে রাণাঘাটে উপস্থিত হইয়া নবীন বাবুর সহিত দেখা করিতে গেলাম। দেখিলাম, তিনি বাহিরের বারাণ্ডায় একখানি ইজি চেয়ারে অৰ্দ্ধশয়ান ভাবে নিবিষ্টচিত্তে একখানি পাণ্ডুলিপি দেখিতেছেন। পাশ্বে র্তাহার পত্নী। আমাকে আসিতে দেখিয়া তিনি গৃহান্তরে প্রস্থান করিতে উদ্যত হইলে, নবীন বাবু বলিলেন, “কাহাকে দেখিয়া পলাইতেছ? গিরিজাকে দেখিয়া লজ্জা - গিরিজাও একটি ছোট খাটো কবি । গিরিজার কবিতা দেখা নাই ? বেশ মিষ্ট লেখে।” নবীন বাবুর স্ত্রী সসাঙ্কোচে দাড়াইলেন। তাহার পর নবীন বাবু বলিলেন, “ঘরের ভিতর চল । আজ তোমাকে আমার নূতন কাব্যের কয়েক পৃষ্ঠা শুনাইব।” আমি তাহার অনুগমন করি।-- লাম। নবীন বাবু একখানি টেবলের সম্মুখে চেয়ারে উপবেশন করিয়া বলিলেন-“আমাক্স ‘রৈবতক’ পড়িয়াছ কি ?” আমি উত্তর করিলাম, “ ‘রৈবতক' বাহির হইলেই আমি এক কাপি পিপলস লাইব্রেরী হইতে কিনিয়াছিলাম । সে আজ ৪৫ বৎসরের কথা।” নবীন বাবু বলিলেন, “ ‘রৈবতক’ তোমার কেমন লাগিয়াছিল ?” আমি উত্তর করিলাম, “পড়িয়া ভাল বুঝিতে পারি নাই। আমার কাছে দুর্বোধি ঠেকিয়াছিল। আপনার “পলাসীর’ মত ‘রৈৰতক’ হয় নাই।” নবীন বাবু হো-হাে করিয়া হাসিলেন। বলি লেন, “তুমি ‘রৈবতকের' উদ্দেশ্য বুঝি নাই। আমি ‘রৈবতকে’ প্রকৃত কৃষ্ণচরিত্র যাহা, তাহাই দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছি। তোমরা বা সাধারণে কৃষ্ণকে খণ্ড প্রথম প্রসঙ্গ গাত পৌষ মাসের ‘আর্য্যাবর্তে” প্রকাশিত হইয়াছে ।