পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ बर्थ cट्ष ” დუგლe) রমণী বলিলেন, “আমি আপনাকে কিছু বলিতে চাহি । আপনার পিতা আমার শ্রদ্ধেয় বন্ধু ছিলেন। আপনার সহিত কখন কোথায় সাক্ষাৎ হইতে পারে ?” রমণীর কণ্ঠস্বর বাষ্পভারাক্রান্ত । আমি বলিলাম, “আপনি আমার পিতার বন্ধু-আমার মাতৃস্থানীয়া । আপনি যখন বলিবেন, আমি যাইয়া আপনার সহিত সাক্ষাৎ করিব । আমি আজ সন্ধ্যার সময়ই যাইতে পারি।” আপনার ঠিকানা বলিয়া রমণী বিদায় লইলেন । সমস্ত ব্যাপারটা রহস্য বলিয়া বোধ হইতে লাগিল। প্রৌঢ়ী রমণীরমুখ দেখিলে মনে হয়, সে মুখে মৃত্যুর ছায়া পুড়িয়াছো-ৰ্তাহার ব্যবহারে বিনয় ও বিষাদ পরিস্ফুট । এই অপরিচিত কে ? Հ সমস্ত দিন আমি নানা কথা ভাবিতে লাগিলাম। আজ এই বিদেশিনীর কথায় আমার পিতৃদেবের রহস্যময় জীবনের রহস্য যেন একান্তই দুর্বোধি বোধ হইতে লাগিল । আমার পিতামহ সুদূর পঞ্জাবে চাকরী করিতেন। পিতৃদেব তাহার মধ্যম পুত্র। পিতামহীর মৃত্যুর পর পিতামহ পুনরায় বিবাহ করেন। বিমাতার সহিত বনিব্বনাও না হওয়ায় পিতা পিতৃগৃহ ত্যাগ করেন। তখন তিনি বালক । কপৰ্দকহীন অবস্থায় তিনি যে কিরূপে কত ক্লেশসহ্য করিয়া পঞ্জাব হইতে বঙ্গদেশে মাতুলালয়ে আসিয়া উপনীত হইয়াৰ ছিলেন তাহা ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয় । কিন্তু তিনি যাহা করিবেন স্থির করিতেন তাহা সম্পন্ন না করিয়া ছাড়িতেন না। মাতুলা শ্রয়ে থাকিয়া তিনি লিখাপড়া করিতে লাগিলেন ও অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দিলেন। তিনি এফ এ পরীক্ষায় সর্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়া তিন বৎসর ডাক্তারী পড়িলে তঁাহার মাতুল তঁাহার বিবাহ দিলেন। এ বিবাহে; পিতার সম্মতি ছিল না-বিবাহ সুখেরও হয় নাই। পিতা পরান্নপালিত-পরাশ্রয়স্থ ; তাহার শ্বশুর অত্যন্ত ধনশালী-ধনগৰ্বে আপনাকে সমাজে প্রধান মনে করেন। তিনি দরিদ্র জামাতাকে দরিদ্রকে ধনীরা যেরূপ উপদেশ দিয়া থাকেন সৈইরূপ উপদেশ দিতেন—তাহাতে জামাতার আত্মসম্মান আহত হইত। দুই বৎসর পরে ডাক্তার হইয়াই পিতা-শ্বশুরের অসন্মতি উপেক্ষা করিয়া