পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ । जन्षां८व्गांत्र्न । । ' १४ সাহায্য করিয়াছিলেন । এই সকল সভার বিলোপের কারণ অনুসন্ধানযোগ্য । ইহাদের উপযোগিতা অস্বীকার করা যায় না । যদি শিক্ষিত সম্প্রদায়ের উৎসাহের অভাব। ইহাদিগের বিলোপের কারণ হয় তবে তাহা একান্তই দুঃখের বিষয়। আর যদি কলোপযোগী পরিবর্তন প্রবর্ত্তনের অভাবেই তাহদের বিলোপ ঘটিয়া থাকে। তবে আবশ্যক পরিবর্তন করিয়া তাহাদিগকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিলে ভাল হয়। এই সকল সভা জিলায় জিলায় শিক্ষিত যুবকসম্প্রদায়ের মিলনক্ষেত্র-শক্তিকেন্দ্র ছিল। তাহার পর “রায়পরিবার” প্রভূতি কতকগুলি উপন্যাস “স্ত্রীপাঠ্য” বলিয়া প্রচারিত হইয়াছে। কিন্তু এই সকল উপন্যােসর সকলগুলিই যে বিশেষভাবে স্ত্রী পাঠ্য এখন বোধ হয় না । সংপ্রতি মধুসূদনের চরিতকার শ্রীযুক্ত যোগীন্দ্রনাথ বসু মহাশয় “পতিব্রতা” নামক যে স্ত্রী পাঠ্য পুস্তকের প্রচার করিয়াছেন তাহা বিশেষ উল্লেখযোগ্য। সকল দেশের পুরাণকথায় ও প্রাচীন সাহিত্যে যে সকল চিত্র ও চরিত্র চিত্রিত ও অঙ্কিত দেখা যায়। সে সকল হইতে জাতীয় জীবনের আভাস ও জাতীয় আদর্শের পরিচয় পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতের মহিলাসমাজে পাতিব্রত্য ধর্ম্ম বিশেষ আদরণীয় ও বিশেষভাবে আচরণীয় ছিল। হিন্দু শাস্ত্রকার এই পাতিব্রত্য ধর্ম্মকেই রমণীর শ্রেষ্ঠ সাধন বলিয়াছেন “নাস্তি স্ত্রীণাং পৃথগযজ্ঞে ন ব্রতং নাপুJপোষিতম্। পতিং শুশ্রীয়তে যেন তেন স্বৰ্গে মহীয়তে ৷ ( মনুসংহিতা) হিন্দু কবি রমণীর সবই পতির জন্য এই ভাব ব্যক্ত করিয়াছেন“প্রিয়েষ্ণু সৌভাগ্যফলাহি চারুতা।” ( কুমার সম্ভব ) যে সীতা রাজভোগ পরিত্যাগ করিয়া পতির সহিত দুৰ্গম অরণ্যে গমন করিয়াছিলেন ও যে সাবিত্রীর পতিপ্রেমে মৃত্যুও পরাজিত হইয়াছিল। সেই সীতা ও সাবিত্রীই হিন্দু-মহিলার আদর্শ। শর্ম্মিষ্ঠা সাবিত্রী সীতা দময়ন্তী পতিরাতা অতুলনা ভারত ললনা। কোথা দিবে তাদের তুলনা ? আলোচ্য গ্রন্থে ভারতের পুরাণ কথায় কীর্ত্তিত কীর্ত্তি ছয় জন মহিলার বিবরণ বিবৃত হইয়াছে; যথা,-সতী; সুনীতি, গান্ধারী, সাবিত্রী, দময়ন্তী, শকুন্তলা ।