পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

स्रोशीावé । ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা । শেষোক্ত কথার প্রতিকুলে শ্রীযুক্ত গোট বলিয়াছেন, অবরোধপ্রথাসভূত গণনায় ভ্রান্তিই যদি স্ত্রীপুরুষের সংখ্যানুপাতের কারণ হইত, তাহা হইলে মুসলমান সমাজে স্ত্রীজাতির সংখ্যা BBBDBDDB DBD D DBDB BBDuB BBDBDH EBDBLSS SDD DDBDD BBS DDDLSS কিন্তু ভারতের প্রায় সকল অঞ্চলেই হিন্দুদিগের তুলনায় মুসলমান সমাজে স্ত্রীজাতি অপেক্ষা পুরুষজাতি সংখ্যায় অল্প। সুতরাং দেশে স্ত্রীজাতি সম্বন্ধে কেহ কোনও কথা প্রকাশ করিতে চাহে না, সেই জন্য স্ত্রীজাতির সংখ্যা আদিম সুমারীতে অল্প বলিয়া প্রকাশ পায় এ কথা সত্য নহে। ১৮৮১ খ্যািক্টাব্দ হইতে ১৯০১ খষ্টাব্দ পর্য্যন্ত আদম সুমায়ী যত নিভুল করিবার চেষ্টা হইয়াছে সেই সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীজাতির সংখ্যার হিসাব বৃদ্ধি পাইয়াছে। সেই জন্য অনেকে অনুমান করিয়াই লইয়াছেন যে, স্ত্রীলোকগণনায় ভ্রমপ্রমাদই হইয়া থাকে। কিন্তু এ অনুমান সত্য নহে। কারণ ১৮৮১ খৃষ্টাব্দে স্ত্রীপুরুষের অনুপাত যেরূপ ছিল এবার আবার উভয় জাতির সেইরূপ অনুপাতই দেখা যাইতেছে। শ্রীযুক্ত গোট বলেন, সময় সময় স্ত্রীপুরুষের সংখ্যার অনুপাতের তারতম্য হইয়া থাকে। কোন সময় স্ত্রীজাতি অধিক ও কোন সময়ে পুরুষ অধিক জন্মে। ইহার কারণ যাহাই হউক, ইহা যে ঘটিয়া থাকে তাহাতে আর সন্দেহ নাই। ইহা স্ত্রীপুরুষের সংখ্যানুপাতবিপর্য্যয়ের একটি কারণ। আর একটি কারণ স্ত্রীপুরুষ ভেদে মৃত্যুহারের তারতম্য। ভীষণ দুভিক্ষের সময় স্ত্রীলোক অপেক্ষাকৃত অল্পই মরিয়া থাকে। ইহার কারণ স্ত্রীজাতিরা প্রায় এক ভাবেই থাকে, পুরুষের হ্যায় তাহদের পরিবার্ত্তন হয় না। আর এক কারণ এই যে, দুর্ভিক্ষের সময় স্ত্রীলোকরা বিনাশ্রমে অর্থসাহায্য পাইয়া থাকে, উহারা সন্তানদিগের খাদ্যাদিও বণ্টন করিয়া দেয়, রন্ধন কার্য্য করে, আর জঙ্গল হইতে আবশ্যক দ্রব্যাদিও সংগ্রহ করিয়া থাকে। ১৯৭১ থষ্টাব্দে স্ত্রীজাতির যে সংখ্যাধিক্য पूछे ՀՀ ՏԵՏ Պ খষ্টাব্দের V8 a o o খষ্টাব্দের দুর্ভিক্ষই তাহার কারণ। ১৯১১ খষ্টাব্দে স্ত্রীজাতির সংখ্যা হ্রাস পাইয়াছে। উত্তর ভারতে প্লেগ ও DBBDDDB BBBD DBDBD DBDBDLSS S DDB BGDB DD DBBD BBDBDS ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে স্ত্রীপুরুষের সংখ্যার তারতম্যের কথা শ্রীযুক্ত গেট আলোচনা করেন নাই। তবে তিনি এই মাত্র বলিয়াছেন যে, ভারতের উত্তর-পশ্চিম অকলে নারীর সংখ্যা অত্যন্ত অল্প। ঐ অঞ্চলেই পূর্বে শিশু কন্যা হত্যা করিবার ভার্বিনের সমর্থন। প্রথা প্রচলিত ছিল। ঐ অঞ্চলে কন্যাহত্যার প্রভাব এখনও প্রবল রহিয়াছে। শিশু কন্যাদিগের জীবনরক্ষাবিষয়ে ঐ অঞ্চলের জনসাধারণ এখন অবহেলা করেন না, ইহাও যদি স্বীকার করিয়া লণ্ডয়া হয়, তাহা হইলেণ্ড আর এক পুরুষ না যাইলে ঐ প্রভাব ক্ষুন্ন হইবে না। ঐ প্রদেশে কন্যা অপেক্ষা পুত্রই অধিক জন্মে। ডার্বিন বলিয়াছেন ষে, ষে অঞ্চলে শিশু কন্যা হত্যা করিবার প্রথা প্রচলিত সেই অঞ্চলে লোকের স্বভাবতঃই কন্যা অল্প হইতে থাকে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে সেই জন্য লোকের অধিক পুত্র জন্মে। ইহাতে ডার্বিনের মতই সমর্থিত হইতেছে । বাঙ্গালায় কস্মিন কালেও কন্যাহত্যা রূপ মহাপাতক অনুষ্ঠিত হইত না । পুৰ্বকালে কন্যার বিবাহের জন্য লোককে এখনকার মত বিত্রত ও ব্যতিব্যস্ত হইতে হইত না।