পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১৩১৮ । অলবেরুণীর ভারতভ্রমণ । ७8> বামপাশ্বে তিলবটের বিপরীত মুখে নয়পাল রাজ্য ( নেপাল) অবস্থিত । নয়পাল সম্বন্ধে অলবেরুণী একজন ভ্রমণকারীর নিকট হইতে যে বিবরণ ংগ্রহ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, তাহা এই স্থানে লিপিবদ্ধ হইল। সেই ভ্রমণকারী তানবটে পূর্ব্বমুখীন গতি ত্যাগ করিয়া বামদিকে অগ্রসর হইয়াছিলেন। তিনি নয়পালে গমন করিয়াছিলেন। ইহার দূরত্ব ২০ ফারশাখ। ইহার অধিকাংশই উন্নতভূমি । নয়পাল হইতে তিনি ৩০ দিনে ভোটেশ্বরে আসিয়াছিলেন ; ইহা প্রায় ৮০ ফারশাখ পথ। এই স্থানে নত ভূমি অপেক্ষা উন্নত ভূমিই অধিক। এই স্থানে জলাভূমি বহুবার সেতুদ্বারা উত্তীর্ণ হইতে হয়। এই সেতুগুলি পরস্পর রজ্জ্বদ্বারা সংযুক্ত কাষ্ঠফলকে নির্ম্মিত হইয়া পর্ব্বত হইতে পর্বতন্তর পর্য্যন্ত বিস্তুত এবং উভয় পারস্থিত মাইল ষ্টোনে দৃঢ়ভাবে বদ্ধ রহিয়াছে। লোকসমূহ এই সেতুর উপর দিয়া পৃষ্ঠে ভার বহন করিয়া গমন করে ; সেতুর অপর পারে ভারগুলি ছাগের পৃষ্ঠে স্থানান্তরিত করা হয় । অলবেরুণীকে তঁহার সংবাদদাতা বলিয়াছিলেন যে, তিনি চারি চক্ষুবিশিষ্ট হংস দেখিয়াছিলেন । ইহা আকস্মিক প্রাকৃতিক ব্যতিক্রম নহে; এই শ্রেণীর সকল হংসই এই প্রকার ! ভোটেশ্বর তিব্বতের প্রথম সীমান্ত । সেই স্থানে অধিবাসিবর্গের ভাষা, পরিচ্ছদ এবং আচারব্যবহার পরিবর্ত্তিত হইয়াছে। এই স্থান হইতে সর্ব্বোচ্চ চুড়ার উচ্চতা ২০। ফারশাখ । পর্ব্বতের এই উচ্চ স্থান হইতে ভারতবর্ষ কুয়াসাচ্ছন্ন কৃষ্ণবর্ণ প্রান্তরের ন্যায় প্রতীয়মান হয় এবং তিব্বত ও চীন রক্তবর্ণ বলিয়া মনে হয়। তিব্বত ও চীনের দিকে অবতরণ করিতে ১ ফারশাখেরও কম পথ অতিক্রম করিতে হয় । কণৌজ হইতে দক্ষিণ-পূর্ব্বাভিমুখে গমন করিলে গঙ্গার পশ্চিমপার্শ্বস্থিত নিম্নলিখিত স্থানে উপস্থিত হওয়া যায় :-জজাহুতীব্রাজ্য, কণৌজ হইতে ৩০ ফারশাখা। এই রাজ্যের রাজধানীর নাম কাজুরাহা । এই নগরী ও কণৌজের মধ্যে ভারতের অতি প্রসিদ্ধ দুইটি দুর্গ অবস্থিত ; একটি গোয়ালির অপরটি কালিনজার। দাহল প্রদেশের রাজধানী টয়েীৱী। এই প্রদেশের বর্তমান শাসনকর্ত্তার নাম গাঙ্গেয় । কন্নকর রাজ্য ২০ ফারশাখ ; অপসুর, বনবাস এই দুইটি সমুদ্রোপকূলস্থিত। নিম্নলিখিত স্থানসমূহ কণৌজ হইতে দক্ষিণ-পশ্চিমে স্থিত :-আষী, কণৌজ হইতে ১৮ ফারশাখা; যাহন্যা, ১৭ ফরশাখ ; চন্দ্র, ১৮ ফারশাখ ; রাজেরী,