পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8 আর্য্যাবর্ত । R K-st Step | চাহিয়া আছেন । দীর্ঘ দিবসের অনশনক্লেশ উপেক্ষা করিয়া তিনি দেবতার করুণা ভিক্ষা করিতেছেন। তঁহার কণ্ঠস্বর বিলুপ্ত হইয়াছে, ললাটে রক্তচিহ্ন ফুটিয়া রহিয়াছে, কিন্তু দেবতার কৃপা হইতেছে না। সে পাষাণমূর্ত্তি তেমনই স্থির, তেমনই নিশ্চল ! সেই বিশ্বফারিত চক্ষুদ্বয় তেমনই উদাসীন ; অধরোষ্ঠ তেমনই অপ্রকম্পিত ! বিহবল জনমণ্ডলী ক্রমে চঞ্চল হইয়া উঠিল । মন্দির ত্যাগ করিবার সময় তাহারা নানা জল্পনা কল্পনা করিতে লাগিল। তাহার সারাংশ এই যে, মন্দিরের সেবকদিগের বাড়ীতে অনুসন্ধান করিলে বঁাশী নিশ্চয়ই পাওয়া যাইবে । বাণী q* Çartet ! শ্রীমতী ব্রাহ্মণবালা ; মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের কন্যা। এই কন্যা ব্যতীত ংসারে বুদ্ধের আর কেহ ছিল না । কন্যাটি মাতৃহীনা বলিয়া পিতার সমস্ত হৃদয়ের মোহ মন্থন করিয়া লইয়াছিল। মাতৃহীন হইলেও শ্রীমতী সুখে ললিতা। গোপালের কৃপায় পুরোহিতের কিছুরই অভাব ছিল না। ব্রাহ্মণ কন্যাটিকে অতি যত্নে লালনপালন করিয়াছিলেন। শ্রীমতী তাহার অবসর-সঙ্গিনী ছিল । তিনি ভাগবত পাঠ করিতেন, শ্রীমতী তাহা একাগ্রামনে শুনিত । শুনিতে শুনিতে তাহার রোমাঞ্চ হইত, চক্ষুতে দর বিগলিত ধারে অশ্রু বহিত, আর সমীরণ তাড়িত লতিকার মত তাহার দেহব্যষ্টি কম্পিত হইয়া উঠিত। বৃদ্ধ পুরোহিত সযত্নে কন্যাকে ধরিয়া পালঙ্কে শয়ন করাইয়া দিতেন, আর ভাবিতেন “ভগবান, এ কি औळ cङांबांब्र !” শ্রীমতী পঞ্চদশবর্ষে পদার্পণ করিলেও তাহার বিবাহ হয় নাই। ব্রাহ্মণ মনে করিতেন, “ব্যস্ততা কি ? বিবাহ দিলেই তা মা আমার পরগৃহে যাইবে, আমার গৃহ যে শ্মশান হইয়া যাইবে। তখন থাকিব কি লইয়া?” পাড়ার লোক মনে করিত, “মেয়েটির যে মৃগীরোগ, হঠাৎ কখন কি হয়, বলা যায় না। বিবাহ হইয়া ফল কি ?” বস্তুতঃ শ্রীমতীর অদ্ভুত ব্যবহারে সকলেই বিস্মিত হইত। সে কখনও হাসে, কখনও কঁদে ; দূরে গগননীলিমার দিকে বিস্ফারিত নয়নে চাহিয়া থাকে, সময়ে সময়ে জ্ঞানহারা হইয়া পাষাণপ্রতিমার মত নিশ্চল হইয়া যায়। প্রতিবেশীরা মনে করে, “এ আবার কি ?” । শ্রীমতী রূপসী । তাহার রূপ ব্রাহ্মণের গৃহ আলো করিয়া থাকে। বকুলের মালা গাঁথিয়া যে দিন সন্ধ্য আরতির সময় শ্রীমতী দেউলে আসিয়া গোপালের