পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১৩১৮৷৷ পাষাণের কথা। سراب . উদ্দণ্ডপুরদুর্গে অবরুদ্ধ হাতসিংহাসন পুরগুপ্ত মগধসিংহাসনের ভাবী উত্তরাধিকারী। চরণাদ্রি হইতে সৌরাষ্ট্র বহুদিনের পথ, মগধে যাহারা স্ত্রীপুত্র রাখিয়া আসিয়াছিল তাহারা প্রত্যাবর্ত্তনের আশা পরিত্যাগ করিল। সম্রাট চরণাদ্রি হইতে প্রতিষ্ঠানাভিমুখে অগ্রসর হইলেন । মিহিরকুলের আহবানে প্রতিদিন শত শত ভুণ আর্য্যাবর্তে প্রবেশ করিতেছিল। তাহাদিগের আক্রমণে গান্ধারে শতশত বর্ষব্যাপী কুশানাধিকার লুপ্ত হইল, কণিষ্কের সাম্রাজ্যের শেষ চিহ্নও আর্য্যাবর্ত্ত হইতে লুপ্ত হইয়া গেল। গঙ্গাতীরে প্রতিদিন কুণগণের বল বুদ্ধি পাইতে লাগিল, সৈন্যসংখ্যার উপর নির্ভর করিয়া মিহিরকুল পুনরায় নদী পার হইবার আদেশ দিলেন ; বহু চেষ্টা সত্বেও তনুদাত্ত সে ভীষণ আক্রমণ রোধ করিতে পারিলেন না, ধীরে ধীরে পশ্চাৎপদ হইয়া ত্রিবেণীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সমাঢ় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হইয়া ব্রহ্মাবর্ত্তের দ্বিতীয় যুদ্ধে তনু দত্তের পরাভব বার্ত্তা জ্ঞাত হইলেন । প্রতিষ্ঠানের ভীষণ দুর্গ তুমি বোধ হয় দেখিয়াছ, সেরূপ সুদৃঢ় দুর্গ তৎকালে মধ্যদেশে আর ছিল না। বলিলেও অত্যুক্তি হয় না ; গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতীর সঙ্গমস্থলে দুর্গটি অবস্থিত ছিল ও উহা অধিকার না করিয়া পূর্ব্বে বারাণসী বা পশ্চিমে অন্তৰ্বেদী অধিকার করা অসম্ভব ছিল । গুপ্তসাম্রাজ্য অতীত হইবার শত শত বর্ষ পরেও প্রতিষ্ঠান আর্য্যাবর্ত্তে রাজশক্তির একটি প্রধান কেন্দ্র ছিল ; বহু শতাব্দী পরে। প্রতীহার ও রাষ্ট্রকুট সৈনিকগণ আমার ছায়ায় বসিয়া প্রতিষ্ঠানের ভীষণ দুর্গের বর্ণনা করিত। ধীরে ধীরে স্থানুন্দত্তের পুত্র মিহিরকুলকে সন্মুখে রাখিয়া বেণীতীরে উপস্থিত হইলেন । তখন তনুদত্ত ও নাগদত্ত দুৰ্গরক্ষার চেষ্টায় বাপৃত হইলেন ; দেখিতে দেখিতে পবিত্র প্রতিষ্ঠানপুর অস্পৃশ্য স্কুণগণ কর্তৃক অধিকৃত হইল। বৃদ্ধ সম্রাট দুৰ্গমধ্যে অবরুদ্ধ থাকিয়া সাম্রাজ্যের কার্য্যনির্ব্বাহ করিতেছিলেন, সৌরাষ্ট্রে পণদাত্ত তখনও গুপ্তাধিকার পুনঃ প্রবর্ত্তন করিবার চেষ্টায় বাপৃত ছিলেন। প্রতিষ্ঠানদুর্গ অবরোধকালেও মিহিরকুলের বালবৃদ্ধি হইতেছিল ; সুতরাং স্বীয় বলাবৃদ্ধির জন্য স্কন্দগুপ্তকেও বিশেষ চেষ্টত হইতে হইয়াছিল। অবসর পাইলেই সম্রাট দুর্গ হইতে বহির্গত হইয়া নিকটবর্ত্তী নগরগুলি হইতে সৈন্যদল পুষ্ট করিবার চেষ্টা করিতেন ; এইরূপে প্রতিষ্ঠান অবরোধে যুণরাজের বর্ষত্রয় অতিবাহিত হইল। উভয় পক্ষেই সৈন্যসংগ্রহ হওয়ায় কোন পক্ষেরই আণ্ড জয়লাভের আশা ब्रश्छि। না । তরুণবয়স্ক মিহিরকুল বিলম্বে বিচলিত হইলেন ও সে সংবাদ স্কন্দগুপ্তের কর্ণগোচর হল। প্রাচীন গুপ্ত সাম্রাজ্যের তখন অন্তিম দশা, স্কন্দগুপ্তের বহু