পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, oxy নবীন-প্রসঙ্গ دسانا বগুলা লোক্যাল ট্রেণের ঘণ্টা পড়িল । আমরা তখন প্লাটফর্ম্মে নামিয়াছি ; ওভার ব্রীজ পার হইবার উদ্যোগ করিতেছি। সে দিন শনিবার। ষ্টেশনে জানিলাম, নবীন বাবু এই ট্রেণে কলিকাতায় যাইতেছেন। শুনিয়া একটু নিরাশ হইলাম। তবে তা আশা পূর্ণ হইল না— খেয়া ঘাটে আসিয়া শেষে এমন সময়ে পরপারের প্লাটফন্ম হইতে কোটপ্যাণ্টপরা প্রৌঢ়বয়স্ক একজন পুরুষকে ওভার বীজের শিড়ি দ্রুত পদে আরোহণ করিতে দেখিলাম। সাধারণ লোক হইতে র্তাহার যেন একটু বিশেষত্বও লক্ষ্য করিলাম। পাশ্ববস্ত্রী একজন ভদ্রলোককে জিজ্ঞাসা করায় জানিলাম, তিনিই ‘পালাসার যুদ্ধের” কবি নবীন 瓯(开可1 নবীনচন্দ্র এ পারে আসিয়া ধরিতিপদে একখানি দ্বিতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে আরোহণ করিলেন । আমি অগ্রসর হইয়া ন ৩ কন্ধারে হস্তস্থিত কবিতাগুলি র্তাহার হাতে দিলাম। তিনি আগ্রহপূর্বক একখানি কবিতার কাগজ লইয়া পড়িতে লাগিলেন। তিনি পাঠসঙ্গ করিয়া সংস্তে আমার মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন,-“এ কবিতা। আপনি লিখিয়াছেন ? বড় সুন্দর হইয়াছে। কলিকাতা স্থ বন্ধুবান্ধবকে দিবার জন্য আরও কতক গুলি দরকার । আমাকে আর দিতে পরিবেন কি ?” আমি অবনতি মস্তকে ড্র ওর করিলাম, “উপস্থিত সঙ্গে আর নাই। যদি প্রয়োজন বোধ করেন, আমি আর কি ৩ ক্যগুণি আপনাকে পাঠাইয়া দিব।” গাড়ী ছাড়িবার ঘণ্টা পড়িল । তিনি কর প্রসারণ করিয়া সাগ্রহে আমার হাত ধরিয়া সেক্হেণ্ড করিলেন ; বলিলেন, “আমি রাণাঘাটে ফিরিয়া আসিয়া আপনাকে পত্র লিখিব।” গাড়ী ছাড়িল । আমি সতৃষ্ণ নয়নে কবিবরকে আর একবার দেখিয়া লইলাম । গাড়া দেখিতে দেখিতে দৃষ্টির বহির্ভূত হইল। কবিকে দেখিলাম। সে কেবল দেখা মাত্র। কবির হৃদয়ের পরিচয় পাইবার অবসর ত হইল না । দুইদিন পরে কবিবরের লিখিত ইংরাজি পত্র পাইলাম। আমার অকিঞ্চিৎকর কবিতা পড়িয়া কবিবর লিখিয়াছেন। I have had nuany such presents in my life, but none so good, so sweet and so poetical.” বড় আহলাদ হইল। আপনায় কবিত্বশক্তি সম্বন্ধে এমন অকাট্য certificate পাইয়া একটু অহঙ্কার ও হইল। পত্রে রাণাঘাটে যাইয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার আমন্ত্রণও ছিল । কবিকে ভাল করিয়া দেখিাবারভাল করিয়া বুঝিবার সুযোগ উপস্থিত হইল।