আর্য্যাবর্ত্ত । ২য় বর্ষ-১১শ সংখ্যা। 8 هـ যদি শিক্ষালাভ করিবার জন্য ব্যাকুল না হয়েন, তবে শিক্ষাবিস্তারকার্য্য সম্পূর্ণ হইতে বিলম্ব অনিবার্য্য। দুঃখের, বিষয়, আজকাল হিন্দু সমাজে চারিদিকেই যে অবসাদ লক্ষিত হইতেছে, শিক্ষালাভপ্রয়াসেও তাহ দেখা যাইতেছে। অৰ্দ্ধশতাব্দী পূর্বেও এ বিষয়ে যে আগ্রহ লক্ষিত হইত, এক্ষণে যেন তাহা মন্দীভূত হইয়াছে। তখন দরিদ্র পিতা ধনীর দ্বারে ভিক্ষা করিয়াও পুত্রের শিক্ষার বায়নির্বাহে সচেষ্ট হইতেন ; দরিদ্র পুলিও পরের ঘরে দয়া দত্ত অন্নে জীবন ধারণ করিয়া বিদ্যাভ্যাস করিতেন । এইরূপ দারিদ্র্যের মধ্যে-বহুবিধ ক্লেশ সহ কারিয়া উত্তর কালে বিদ্যাগুণে খ্যাতিলাভ করিয়াছেন এরূপ বাঙ্গালীর সংখ্যা অল্প নহে । এখন আনাদের দেশে শিক্ষার্থীদিগের মধ্যে এইরূপ আগ্রহ-এইরূপ কষ্টসহিষ্ণুতা-এইরূপ একাগ্রসাধনার সঙ্কল্পের অভাব নিতান্তই বেদনার কারণ। ফলে যে সকল সম্প্রদায়ে মুখ ছিল না। বলিলেই হয়, সে সকল সম্প্রদায়ে ও নিরক্ষরের বাহুল্য ঘটতেছে। এ অবস্থান্তর যে কিরূপ শোচনীয় তাহা আর কাহাকেও বলিয়া দিতে হইবে না । আমি পূর্ব্বে শিক্ষার্থীদিগকে তড়াগের সহিত তুলিত করিয়াছি। তাড়াগ যেমন মেঘবষিত বারি লাভ করিয়া তাহ পরার্থে ব্যয় করিয়া জীবের অশেষ কল্যানবিধান করিয়া থাকে- শিক্ষা লাভ করিয়া অপরকে শিক্ষাদানে উপকৃত করাষ্ট তেমনই শিক্ষিত ব্যক্তির কর্ত্তব্য। তাহা না করিলে শিক্ষিত ব্যক্তি কর্ত্তব্যচ্যুত হইবেন—দেশে শিক্ষাবিস্তারেও বহু বিন্ন ও বিলম্ব ঘটবে। পূর্ব্বকালে হিন্দু সমাজে ব্রাহ্মণগণ বিনাব্যয়ে বিদ্যাদান করিতেন। ভারতে বৌদ্ধগণও এই আদর্শভ্রষ্ট হয়েন নাই ; পরস্তু তঁহাদিগের ভিক্ষুগণ ব্যক্তিনির্বিশেষে অবাধে শিক্ষাদান করিতেন । আজিও ব্রহ্ম প্রভৃতি বৌদ্ধপ্রধান স্থানে বিহারে অবৈতনিক শিক্ষাদানের ব্যবস্থা আছে। ইংরাজাধিকারের পরও দুইজন বাঙ্গালী ব্রাহ্মণ প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ সচেষ্ট হইয়াছিলেন ;- একজন ঈশ্বরচন্দ্র বিষ্ঠাসাগর,--আর একজন ভূদেব মুখোপাধ্যায়। ইহারা দুইজন সরকারী শিক্ষাবিভাগে কার্য্য করিয়া এ দেশে প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের জন্য যে চেষ্টা করিয়াছিলেন-তাহাতে বাঙ্গালার শিক্ষাবিস্তারের ইতিহাসে ইহাদের নাম চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে। সুখের বিষয়, এখন আবার প্রাথমিক শিক্ষাবিস্তারের চেষ্টা হইতেছে এবং একাধিক স্থানে সকল বালককেই প্রাথমিক শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা হইয়াছে। যাহাতে LLL BD DDDDDS S gBDBDS DDBS SKLDD BDBD S LBBB DDBD
