পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীর্ত্তিক, ১৩১৮ । পুরাতন প্রসঙ্গ । Ġbé ത്ത তাহার হৃদয়ে একটা উৎকট ভয় জন্মিল ; সে ভাবিল-বিহারী নিজেই তাহাকে খুন করিবে এই প্রতিজ্ঞা করিয়া পুলিসের কাছে গোপন করিয়াছে। এই ভয়ে সে এতদূর অভিভূত হইল যে, সে দিনই হউক বা তাহার পরদিনই হউক, নিজে আসিয়া বিহারীর পায়ে ধরিয়া দাঙ্গ মিটাইয়া ফেলিল । “বিহারীর লিখাপড়ার সম্বন্ধে বলিতে হয় যে, দিনকতক সে সংস্কৃত কলেজে, ভক্তি হইয়া মুগ্ধবোধ পড়িতে গিয়াছিল। কিন্তু ইস্কুল কলেজে বাধাবাধি নিয়মের বশবর্ত্তী হইয়া থাকা তাহার স্বভাবের সহিত মিলিল না। Votel: individuality ( ব্যক্তিবৈশিষ্ট) এতই তীব্র ছিল। অল্পকালমধ্যেই সংস্কৃত কলেজ ত্যাগ করিয়া সে বাড়ীতে পণ্ডিতের নিকট মুগ্ধবোধ কিছুদিন পড়িয়াছিল; সাঙ্গ করা হইয়াছিল কি না বলিতে পারি না। তাহার বাড়ীর শিক্ষক ও বড় "কেও কেটা” ছিলেন না। তিনি আমাদের লব্ধপ্রতিষ্ঠ ভাইস-চেয়ারম্যান নীলাম্বর বাবুর পিতা। তিনি ঐ পাড়ায় অনেক বালককে মুগ্ধবোধ পড়াইয়াছিলেন। মুগ্ধবোধ সাঙ্গ হউক আর না-ই হউক, বিহারীর সংস্কৃত ব্যাকরণে এতটুকু অধিকার জন্মিয়ছিল যে, তিনি সাহিত্য-শাস্ত্র অধ্যয়ন করিতে পারক হইয়াছিলেন। সাহিত্য-শাস্ত্রের কয়েক খানি গ্রন্থ যথা,-রঘুবংশ, কুমারসম্ভব, আর বোধ হয়। ভারবি, মুদ্রারাক্ষস, উত্তরচরিত এবং শকুন্তলা আমি তঁাহাকে পড়াইয়াছিলাম । তিনি আমার কাছে সকালে বৈকালে পড়িতে আসিতেন। এই সময়ে Monier Williams শকুন্তলার এক অপূর্ব সংস্করণ বাহির করিয়াছিলেন, নাটকের প্রাকৃত ভাষা লাল অক্ষরে, তাহার ঠিক নীচেই প্রাকৃতের সংস্কৃত অনুবাদ কাল অক্ষরে, প্রত্যেক পৃষ্ঠায় হদ ৫৬ ছত্র মূল সংস্কৃত, বাকি অংশ ইংরাজী ব্যাখ্যায় পরিপূর্ণ। ইংরাজী ব্যাখ্যার মধ্যে আবার স্থানে স্থানে তিন জন টীকাকারের সংস্কৃত ব্যাখ্যা উদ্ধত ছিল। কিন্তু এই সংস্কৃত ব্যাখ্যাগুলি ইংরাজী অক্ষরে ছাপা ছিল। কালিদাসের শকুন্তলার প্রতি মুদ্রণকার্য্যে কেহ কখনও এরূপ সম্মান প্রদৰ্শন করেন নাই। বহিখানির দাম হইয়াছিল, উনিশ টাকা। বিহারীদের যদিও অন্নকষ্ট ছিল না, তথাপি ১৯৯১ টাকা BB gBBDDD KDDBDB DBBB BBDB DBBBDDLD DDDD DBDB D বিহারীয় পিতা যাজ্যক্রিয়া কয়িতেন, অনেকগুলি ধনবান সুবর্ণবণিক তাহার যজমান ছিল। অন্যান্য জাতির পুরোহিতদিগের অপেক্ষা সুবর্ণবণিক জাতির পুরোহিতদিগের আয় অনেক অধিক । বিহারী পিতার একমাত্র পুত্র ছিলেন। তাই তাহার আব্দার অগ্রাহ হয় নাই ; পিতা। ১৯২১ দিয়া পুত্রকে ‘শকুন্তলা’ কিনিয়া দিয়াছিলেন। আমিও বড়ই আনন্দের সহিত বিহারীর সঙ্গে সেই শকুন্তলা