<sis \sets ( ) ) এই পরিবর্তনশীল ও বৈচিত্র্যময় জগৎ দুইটি স্বতন্ত্র জগতের সমষ্টি ; একটি গ কায়া-অপরটি ছায়া। দুইটিই বিচিত্র, দুইটিই সম্পূর্ণ, দুইটিই আশ্চর্য্য, দুইটিই সুন্দর। জগৎকে দেখিতে হইলে, জগৎকে বুঝিতে হইলে এই দুইটি স্বতন্ত্র জগৎকে দেখিতে হইবে ও বুঝিতে হইবে। ইহার কোনটিকে বাদ দিলে সমগ্র জগৎকে দেখা হয় না। কি বিশাল, কি ক্ষুদ্র প্রকৃতির প্রতি পদার্থই এই দুইটি জগতের সমবায়ে স্থষ্ট । একটি বৃক্ষকে দেখিতে হইলে শুধু তাহার বিশাণিতা বা প্রকাণ্ড কাণ্ডটি দেখিলেই চলিবে না। ;-সেই বৃক্ষের ছায়াস্বরূপ তাহার ফুল ও ভজাত ছায়াটিকেও দেখিতে হইবে । সেইরূপ একটি ফুল্ল ফুলকে বুঝিতে হইলে, তাহার পলাশ গুলি গণিলেই হইবে না। ;-তাহার কোমলতা, তাহার সৌন্দর্য্য, তাহার সৌরভ ও তজ্জাত ফলটিকে ও বুঝিতে হইবে । একটি রমণীকে জানিতে হইলে, তাহার যত্নশোভিত দেহলতা ও তঁহার আকার দেখিলেই হইবে না। ;-তদীয় ছায়াস্বরূপ তাহার গুণগ্রাম ও তঁহার অঙ্কন্ধ শিশুটিকেও জানিতে হইবে । প্রকৃতির প্রতি পদার্থেই এইরূপ ; সুতরাং, জগতের যে কোন জিনিসই দেখি না কেন,-যে দুইটি পৃথক জগতের সমবায়ে তাহাদের স্থষ্টি,-সেই দুইটিকে বুঝিলেই জিনিসটিকে বুঝা হইবে । এই দুইটি জগৎ-কায়া ও ছায়া,-স্বতন্ত্র হইলেও প্রথমতঃ এক হইয়া থাকে। ভাল করিয়া না দেখিলে মনে হয়-দুইটি নহে,- একটি,-এমনই ? - ওতপ্রোতভাবে একটি আর একটির ভিতর নিহিত হইয়া থাকে-কায়ার ভিতর থাকে ছায়া। দুইটি জগৎ স্বতন্ত্র হইলে ও আংশিকভাবে একটি অপরটির উপর নির্ভর করে । কায়া ও ছায়া-দুইটী লইয়া পদার্থ। ফুল শুধু তাহার আকার লইয়া নহে :- তাহার ছায়া-তাহার সৌরভ ও ফল প্রথমে তাহারই ভিতর নিহিত থাকে; সময়ে তাহারা আত্মপ্রকাশ করে। ফুলটি কুঁড়ি হইতে যখন “ফুটি ফুটি” হইয়া ফুটয় উঠে, তখনই তাহার ছায়া-তাহার সৌরত দশ দিক আমোদিত করে। আবার আরও একটু ফুটিয়া উঠিয়া সে আপনার | অস্তিত্বকে স্থায়ী করিবার জন্য প্রধান ছায়া ফলকে প্রসব করে। সেইরূপ : صیس - у .
- চুচুড়া হিন্দু-সমিতি'র অধিবেশনে গঠিত।
