পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gekSSkSLSLYSeSeYySSAYS 0gSySrrSA A S SS SSSSeeSeSeee SzS0S S Sii S SS SS SSAASS SS SiSeSSJSrSSiS 啤 ፰፻፷፮ኛ ""- . . . . : . . ." - . 愿 . * * . . . . . ܽ :: ኀ * , "."۔ r. * -- ه ;... .. - ۰۰ین; * . . . . : ༣ : ز. . -: . বাসনা হইতেই অসংখ্য দুঃখের সৃষ্টি। জীবন এক প্রকাণ্ড মরীচিকামাত্র । ‘প্রখর মার্ত্তগুদগ্ধ নিরবচ্ছিন্ন মধ্যাহের মত উষর এই সংসার” জন্মই দুঃখের আকর; সুখদুঃখ বিরহিত নিৰ্বাণই এক মাত্র কামনার বস্তু। শোপেন হাওয়ার বৌদ্ধ মতের প্রতি পক্ষপাতী ছিলেন। শোপেনহাওয়ারের শিষ্য হাটমান তাহার আচার্য্যের ন্যায়। দুঃখকেই সারাতত্ত্ব । বলিয়া মানিয়াছিলেন এবং দুঃখের নিবৃত্তিকেই পরম পুরুষার্থ বলিয়া স্বীকার । করিয়াছিলেন। কিন্তু তাহার মতে জগতের মূল প্রবৃত্তি একান্ত অচেতন নহে। ] চৈতন্তের সহিত প্রবৃত্তির মিলনই হার্টমানের চিন্তার মুখ্য ফল। তাহা হইলে ও হাটমান বৈদান্তিকের ন্যায় জগৎকারণকে প্রথম হইতেই সচেতন বলিয়া গ্রহণ করেন নাই। তঁহার মতে প্রবৃত্তি প্রথমে অচেতন ছিল । সেই অচেতন প্রবৃত্তি হইতে সৃষ্টির আরম্ভ ; কিন্তু সৃষ্টি প্রক্রিয়া আরম্ভ হইতেই চৈতন্তের আবির্ভাব হইল। চৈতন্য আবির্ভূত হইয়া জগৎকে নানাপ্রকারে শৃঙ্খলাসম্পন্ন ও সম্পূর্ণ করিতে চেষ্টা করিল। সেই চেষ্টার ফলে জগতের কার্য কারণ পরম্পরার মধ্যে অনেক সময়ে একটি সচেতন প্রেরণা দেখিতে পাওয়া । যায়। চেতনা রূপ জননী এবং কাম ( প্রবৃত্তি )। রূপ জনক হইতে জগতের প্রসব হইয়াছে, প্রসবের পরে চেতনা গুণবতী মাতার ন্যায়। গর্ভজাত সন্তানকে । নানা উপকরণে সাজাইতে চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু প্রবৃত্তির যে উদাম অন্ধ । প্রকৃতি, তাহ যাইবে কোথায় ! কাষেই জগতের অসম্পূর্ণতা স্বাভাবিক এবং ঃখ ও অনিবার্য্য। প্রবৃত্তির যখন বিনাশ হইবে, দুঃখের তখন অন্ত হইবে। যেহেতু প্রবৃত্তি হইতে জগতের উৎপত্তি হইয়াছে, প্রবৃত্তির বিনাশ হইলে জগৎ ও ধবংস প্রাপ্ত হইবে। সেই পরম নির্বাণই একমাত্র কামনার বস্তু । , সৃষ্টির মূল যে প্রবৃত্তি, তাহাকে গায়টে ও অচেতন বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন । gsF EscG“Fo sS1 (“Im Anfang war die Thato Faust ) এই কর্ম্ম প্রবৃত্তি প্রথমে অচেতন ছিল । ( বৌদ্ধের বলিতেন ‘অবিদ্যা হইতে বাসনার জন্ম।” ) গাভীর ক্ষীর যেমন অচেতন হইলে ও বৎসের জন্য প্রবাহিত । হয়, তেমনই এই কর্ম্ম-প্রবণতা অজ্ঞাতসারেই তত্ত্বজ্ঞানের অভিমুখে প্রবর্তিত । করিতেছে । তত্ত্বজ্ঞান যে দুঃখ নিবৃত্তির এক মাত্র উপায়, ইহা হিন্দু ও বৌদ্ধ দার্শনিকেরা : সকলেই স্বীকার করিয়াছেন। এই বিষয়ে খৃষ্টীয় ধর্ম্মতত্বের সহিত এ দেশীয় | চিন্তার কিঞ্চিৎ পার্থক্য লক্ষিত হয়। বাইবেলে যে মৌলিক পাপের বর্ণনা ।