পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88s আর্য্যাবর্ত ' ' ܐ ܪܝܪܚܐ* ܕܪfir LuLBYYSLBBLBD BDD DL YLDLL K LTBOu BY BDLL B দয়াপরবশ । আমরা পবনদেবকে যেরূপ ভালবাসি সেইরূপ ভয়ও করিয়া থাকি ; কারণ, আমরা তঁহার ক্রোধ ও বিদ্বেষ-বুদ্ধির কথা সম্যক অবগত আছি। অম্বুধিগর্ভে ও আকাশপটে যে সকল প্রাকৃতিক-চিহ্ন প্রকটিত হইয়া উঠে, তাহাই আমাদিগকে সতর্ক হইতে শিক্ষা দেয়। বায়ুৱে সহিত আমাদের যে অহরহ বিরোধ চলিতেছে তাহা আমরা এক মুহুর্তের জন্যও বিস্মৃত হইতে পারি না । আমরা সর্ব্বদাই যেন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকি। এই নিমিত্ত আমাদের ইন্দ্রিয়শক্তি সর্ব্বক্ষণ প্রখর রূপে প্রযুক্ত হইয়া থাকে। আমরা চক্ষুদ্বারা অদৃশ্যপ্রায় প্রাকৃতিক পরিবর্তনের পর্য্যবেক্ষণ, গাত্রত্বকের সাহায্যে সমীরণের মধুর স্পর্শ বা ঝটিকার ভীষণ সংঘাতের অনুভূতি এবং আমাদের অন্তরাত্মার সহযোগে এই অব্যবস্থিতচিত্ত দেবতাটির চিত্তবৃত্তি নিরূপণের জন্য সচেষ্ট । সমুদ্রের উপর বায়ুর একাধিপত্য। এই অপ্রতিহত প্রভাবের কখনও ব্যতিক্রম হয় না। আমরা স্বীয় কার্য্যসাধনে বায়বশক্তির প্রয়োগ করিতে শিখিয়াছি; এমন কি বায়বিক বিপ্লবে আমরা কৌশলে আত্মরক্ষা বা পলায়ন করিয়া অব্যাহতি লাভ করিতে পারি। কিন্তু বায়ুকে আমরা কখনও সম্পূর্ণরূপে আয়ত্তাধীনে আনিতে সমর্থ হই না । স্ত্রী বা শত্রু বশীকরণ অপেক্ষা ইহা সহস্ৰ গুণ আয়াসসাধ্য ও সমধিক ভবিষ্যদৃষ্টির পরিচায়ক। উপাসক সম্প্রদায়ের মধ্যে শ্রেণীবিশেষ • ঐশীশক্তিকে যেরূপ ভীষণ ও ক্রোধান্ধ বলিয়া ধারণা করে, নাবিকগণের মধ্যেও বায়ু, সম্বন্ধে সেইরূপ অলৌকিক ধর্ম্মমিশ্রিত ভয় ও ভক্তি বিরাজমান । বর্ণার্ড বলিল, “ওই দেখুন, বাতাস আসিতেছে”। দুরে-বহু দূরে দিগন্তের শেষসীমায় জলরাশির উপরিভাগে অনতিদীর্ঘ একটি নীলকৃষ্ণরেখা ক্রমেই নিকটবর্ত্তী হইতেছিল। সহসা দেখিলে তাহাকে অদৃশ্যপ্রায় ছায়া বলিয়া ভ্রম জন্মে। ইহাই সেই চিরঈপ্সিত বায়ুস্রোত। ইহারই প্রত্যাশায় আমরা এই প্রখর সৌরকরতাপে নিশ্চলভাবে অবস্থিতি করিতেছিলাম। ঘটিকায় আটটা মাত্র বাজিয়াছে দেখিয়া আমি বলিলাম, “কি আশ্চর্য্য। পুর্বাহেই পশ্চিমে বাতাসের আবির্ভাব!” উত্তরে বার্ণাড আমাকে জানাইল যে, বৈকালে বায়ুর বেগ বিশেষ বৰ্দ্ধিত হইবে। আমি লক্ষ্য করিয়া দেখিলাম, জাহাজের বাতবত্র প্লথ ও অসম্বদ্ধভাবে দোদুল্যমান। পাইলসংলগ্ন বৃহদাতনয় দারুনির্ম্মিত ত্রিভুজটি গগনমার্গ স্পর্শ করিয়াছে বলিয়া বোধ হইতেছিল। আকাশ মেঘমুক্ত