পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ আর্যবর্ত্ত। ནག་སོ-། གང་གil ། কার্য আরম্ভ করেন। কার্য্যারম্ভের পর কয় মাস পর্যন্ত স্তুপের ভগ্নাবশেষ ব্যতীত আর কিছু পাইবার সম্ভাবনা আছে বলিয়া বোধ হয় নাই। তাহার পর ক্রমে ক্রমে বৃহৎ স্তপের প্রস্তররচিত ভিত্তিপ্রাচীর পাওয়া গেল। ভিত্তিপ্রাচীরের আয়তন দেখিয়া বুঝা গেল, ভারতে এমন বিশাল স্তুপ আর ছিল না। অন্যান্য বিষয়েও চীনদেশীয় পর্যটকদিগের বর্ণিত স্তুপের বিবরণ মিলিতে লাগিল। ইহাই যে রাজা কনিষ্কের সেই প্রসিদ্ধ স্তুপ সে বিষয়ে আর সন্দেহ রহিল না। তখন আমি ডাক্তার স্পনারকে বলিলাম, এই স্তপে বুদ্ধদেবের মরদেহাবশেষের এক অংশ রক্ষিত হইয়াছিল ; তাহার সন্ধান করা আবশ্যক। তখন বহু আয়াসে DDDB DBB BBBD DB DBSS S SK SDDDS D BDD DBDBBDB SDD BD প্রস্তরগঠিত কক্ষে উপনীত হইলাম ; তথায় আমরা প্রায় দুই সহস্ৰ বৎসর পূর্বে রাজা: কনিষ্কারক্ষিত বুদ্ধদেবের দেহাবশেষের আধার প্রাপ্ত হইলাম। · ශ්‍රේදී স্তাপেই যে রাজা কনিষ্কের কীর্ত্তি এ সম্বন্ধে পূর্ব্বে যদি বা সন্দেহের কোন কারণ থাকিয়া থাকে- এই কক্ষে প্রাপ্ত দ্রব্যাদির পরীক্ষায় সে সন্দেহের আর অবকাশ রহিল না। ;-পরন্তু সকল সংশয় দূর হইয়া গেল। এই আধারে যে রাজমূর্ত্তি উৎকীর্ণ তাহার সহিত কনিক্ষের মুদ্রায় মুদ্রিত মূর্ত্তির সৌসাদৃশ্য সুস্পষ্ট ; এই মূর্ত্তির নিম্নে খরস্তিতে র্তাহারই নাম লিখিত বলিয়া বোধ হয়। আবার-আধারপার্শ্বে-যেন সকল সংশয় দূর করিবার জন্যই কনিষ্কের একটি মুদ্রা পতিত f$ச কাযেই এই স্তপ যে কনিক্ষের কীর্ত্তি হিউয়েন সাংএর এই উক্তি সত্য বলিয়াই বোধ হয়। এই স্তৰূপাভ্যন্তরে যে বুদ্ধদেবের দেহাবশেষই সংরক্ষিত হইয়াছিল ইহাতেও সন্দেহ করিবার কারণ নাই। কনিস্কের রাজ্য উত্তর ভারতে ও আফগানিস্থানে বিস্তৃত ছিল। সুতরাং তঁহার পক্ষে রাজ্যান্তর্গত কোন স্তুপ হইতে বুদ্ধদেবের দেহাবশেষ্যসংগ্রহ সহজসাধ্যই ছিল। বিশেষতঃ তিনি যে স্বীয় রাজধানীতে স্বয়ং বুদ্ধদেব ব্যতীত আর কাহারও দেহাবশেষ রক্ষা করিয়াছিলেন বা আর কাহারও দেহাবশেষ রক্ষার্থ, এইরূপ অতুলনীয় স্তপ নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন-ইহা বিশ্বাস কয়িতে প্রবৃত্তি হয় না। এই সকল কারণে মনে হয়। হিউয়েন সাংএর উক্তিই সত্য এবং এই স্তৰূপমধ্যে প্রাপ্ত আধারে রক্ষিত দেহাবশেষ স্বয়ং বুদ্ধদেবের । তঁহার দেহাবশেষ কুশীনারে পরিনির্বাণের পর অষ্ট ভাগে বিভক্ত ও পরে সম্রাট অশোক কর্তৃক আরও বহুভাগে বিভক্ত হইয়াছিল।