পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2éir ' আর্য্যাবর্ত্ত Y -- ༠ সংখ্যা মহিমচন্দ্র বলিলেন, “সে বিষয়ে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। এরূপ ঘর, এরূপ °बिांद्र गरुद्रांप्रुद्र cथ शांव्र न !” ব্রজেন্দুর পরীক্ষা শেষ হইলে মহিমচন্দ্র একবার তাহাকে পাত্রী দেখিতে বলিলেন। ব্রজেন্দু বলিল, “তুমি কি আমাকে পাগল পাইয়াছ ?” মহিমচন্দ্র বলিলেন, “কেন ? তাহাতে দোষ কি ?” “দোষ না থাকিতে পারে ; আবশ্যকও নাই। তুমি দেখিয়াছ ; মা মত করিয়াছেন ; আবার কেন ?” সে কিছুতেই পাত্রী দেখিতে সম্মত হইল না। রামার সহিত তাহার বিবাহ হইয়া গেল। বিবাহের কয়দিন পরেই পরীক্ষার ফল বাহির হইল-পরীক্ষায় ব্রজেন্দু সৰ্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়াছে। ইহার এক মাস পরে একটি বিশেষ পরীক্ষা দিয়া ব্রজেন্দু মাসিক দুইশত টাকা বেতনের একটি সরকারী চাকরী গ্রহণ করিলা । ኪፖ ব্রজেন্দুর বিবাহের ছয় মাস পরে একবার পিত্রালয়ে আসিয়া সুরমা বলিল “দাদা, তুমি মেয়েদের লিখাপড়াজানা ভালবাস ; বীের লিখাপড়া শিখিবার ব্যবস্থা কর।” ব্রজেন্দু বলিল, “কে তোকে বলিল, আমি মেয়েদের বিদ্যাদিগগজ হইতে বলি ?” “নহিলে আমাদের বাড়ীর পাশের বাড়ীর ভাড়াটিয়াদের সেই মেয়েটির অত প্রশংসা করিতে কেন ?” “একটি ছোট মেয়ে, পড়িতে ভালবাসিত । তাহার প্রশংসা করিলে কি ইহাই বুঝায় যে, আমার ইচ্ছা সকল স্ত্রীলোক বিদ্যাচর্চায় মনোনিবেশ করিবে ?’ সুরমা আর দাদার সঙ্গে তর্ক করিল না বটে, কিন্তু কলিকাতায় ফিরিয়া। সে রামাকে তাহার পিত্রালয়ে যে পত্র লিখিল, তাহাতে তাহাকে লিখাপড়া করিতে পরামর্শ দিল । এদিকে ব্রজেন্দু ভগিনীকে যাহাঁই বলুক তাহার কথায় লজ্জিত হইল। সে যে একদিন অসম্ভব আদর্শের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছিল, এবং সেই আন্দের্শেই সুখলাভের আশা করিয়াছিল। ইহাতে সে লজ্জিত হইল। তাহার বিবাহ সম্বন্ধ স্থির হইবার সময় হইতেই সে সেই “অসম্ভব আদর্শ” পরিহার করিতে বদ্ধপরিকর হইয়াছিল।