পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

电中愉,>b>41 পাষণের কথা। ১৫৫ পাষণের কথা । ( R ) পরদিন প্রাতে, পূর্বে যে বৃদ্ধ ভিক্ষুর কথা বলিয়াছি, তিনি আসিয়া নগরের প্রধান ব্যক্তিগণকে প্রান্তরে সমবেত করিলেন। পরে ক্রমশঃ রাজা ও তদ্বংশীয় ব্যক্তি ,ণও তথায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন। কিয়ৎক্ষণ কথোপকথনের পর বৃদ্ধ সেই জনসজস্যকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন :- “আমি ত্রিংশদ্বর্ষ পূৰ্বে আমার জন্মভূমি মগধ পরিত্যাগ করিয়া আসিয়াছি। বাল্যকালে আমি মহারাজ প্রিয়দর্শকে রাজগৃহের পথে দেখিয়াছি ; কিন্তু সে কথা আমার ভাল স্মরণ হয় না। যে ধর্ম্ম প্রচারের জন্য তিনি আজীবন চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন ও যে ধর্ম্মের জন্য তিনি বৃদ্ধাবস্থায় গিরিব্রজের বনমধ্যে বাস করিয়াছিলেন, সে ধর্ম্ম তখন বিশেষ সমাদৃত। তখন পূর্বে প্রাগজ্যোতিষপুর হইতে পশ্চিমে কপিশা পর্য্যন্ত ও উত্তরে খশাদেশ হইতে দক্ষিণে সমুদ্র পর্য্যন্ত সে ধর্ম্মের প্রভাব অক্ষুন্ন। তাহার চেষ্টায় যে প্রবল ধর্ম্মলন্স সিন্ধু হইতে ব্রহ্মপুত্র পর্য্যন্ত দেশবাসী জনসাধারণের মধ্যে দুৰ্দ্ধমনীয় হইয়া উঠিয়াছিল, তাহারই জন্য বিংশতিবর্ষ বয়ঃক্রমকালে আমি প্রব্রাজ্য গ্রহণ করিয়াছিলাম। ধর্ম্মাশোকের মৃত্যুর পর দশরথ, সঙ্গত, শালিশক প্রভৃতি রাজগণ তাহার সযত্ন-প্রতিষ্ঠিত ধর্ম্মের মর্য্যাদা অক্ষুদ্র রাখিয়াছিলেন। উত্তর-পশ্চিমকোণে গান্ধার, উদ্যান, কপিশা, বাহালীক প্রভৃতি প্রদেশে এই ধর্ম্মের। এতদূর উৎকর্ষসাধন হইয়াছিল যে, বিজেতা যবনগণও আসিয়া তথ্যাগতের ধর্ম্মে দীক্ষিত হইয়াছিল। কয়েক বৎসর পুর্ব্বে যে যবন রাজা অন্তৰ্বেদী অতিক্রম করিয়া সাকেত অবরোধ করিয়াছিলেন। তঁহার পূর্বপুরুষেরা শতবৰ্ষপুর্ব্বে, স্বৰ্গগত চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের শ্বশুরবংশের অধীনে বাহালীক ও কপিশার শাসনকর্ত্তা ছিলেন। যে আন্তীয়োক সপ্তসিন্ধু বিজয় করিতে আসিয়া সৌভাগ্য সেনের নিকট হইতে পঞ্চশত সংখ্যক হস্তিস্থ প্রাপ্ত হইয়া আপনাকে সৌভাগ্যবান মনে করিয়াছিলেন, তঁহারই সময়ে ঐরাণে পারদগণ ও বাহালীকে বিদ্রোহী যবনগণ স্বাধীনতা ঘোষণা করিয়াছিল। ক্রমে শক জাতির তাড়নায় ইহারা পূর্ব্বদিকে আসিতে বাধ্য হইয়াছে। বাহালীকের যাবনরাজ্যের অভু্যুত্থানের সহিত গান্ধারে ও উদ্যানে মৌর্য্য সাম্রাজ্যের মর্য্যাদা হানি আরব্ধ হইয়াছে। ইহাই মৌর্য্যরাজংশের ও সদ্ধর্ম্মেয় অবনতির সুত্রেপাত। বাল্যে আমি হিরণ্যবাহুতীরে পাষাণনির্ম্মিত কুফুটপাদবিহারে বাস করিতাম। তখন শ্রমণাচার্য্যগণ ঐরাণ, বা বিরুষ,