পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$৮৪ আর্য্যাবর্ত। - ১ম বর্ষ-৩য় সংখ্যা। দিন তাহার শিলাবন্ধ কমলপত্রের মত আসার প্রতিপন্ন করিয়া সে তাপ জালাময়ী গৈরিক নিস্রাবে-লেলিহান অনলশিখায়-দ্রবীভূত সংহারান্ত্রে আত্মপ্রকাশ করে। রাণী এত দিন অন্তরে যে ভাব গোপন রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন, সে ভাব আজ র্তাহার অভ্যস্ত অবিচলতা অনায়াসে অবহেলা করিয়া সদৰ্পে বাহিরে আসিল । উমা রাণীকে কখনও এমন বিচলিত দেখে নাই। সে বিস্ময়ে মূক হইয়া রহিল। আর সেই বিকশিত উপবনে অটুট-গাভীর-গর্ব্বচুম্তা রাণী বেদনা-ব্যথিতা বালিকার মত আকুল ভাবে রোদন করিতে লাগিলেন। রোদনোচ্ছিাসে। তঁহায় দেহ পবনবিচলিত কুসুমভারনম্র লতিকার মত কম্পিত হইতে লাগিল। উমা DBDDYq D SB BD DD DBB BBD DB BDD KDB DBBD DDDDiD বিদ্যুতের মত যে চঞ্চলতা লক্ষ্য করিতেছিল, তাহা বুঝি এই প্রলয়-ঝটিকার পূর্বলক্ষণ ! কয় দিন হইতে রাণী কেমন অন্যমনস্কা-তিনি যেন চেষ্টা করিয়া তাহার অভ্যন্ত গাম্ভীর্য্য নিবিড়তরা করিয়া তুলিতেছিলেন—সে বুঝি ঝটিকার অব্যবহিত পূৰ্ববর্ত্তী নিষ্কম্প স্থিরভাব ? কিন্তু এ ঝটিকার কারণ কি ? সরলা-সংসারজ্ঞানানভিজা যুবতী, কোথায়—কত দিনে-কি কারণে ঝটিকা উৎপন্ন হয়, তাহা কে বলিতে পারে? সে যখন সাজান বাগান শ্মশান করিয়া চলিয়া যায়, তখন আমরা ভাবিয়া মরি-আর আমাদের অক্ষমতা উপলব্ধি করি। আজি বিবাহিত জীবনের সকল কথা একে একে রাণীর মনে পড়িতে লাগিল । রুদ্রমূর্ত্তি নিদাঘের তীব্র তপনতাপে যখন ধরা পৃষ্ঠ রসলেশশূন্য, শুষ্ক, কঠিন হইয়া পড়ে তখন শম্পান্তরণ শুকাইয়া যায় ; তখন ধূলি-ধূসর, দীর্ণ ধরা পৃষ্ঠ চাহিয়া কেহ বুঝিতে পারে না যে, ধরণী, সযত্নে সেই সৌন্দর্ঘ্যের বীজ সংরক্ষণ করিয়াছেতাহাকে মৃত্যু হইতে রক্ষা করিয়া নূতন জীবনের আনন্দে ও আগ্রহে সম্পূর্ণ ও সর্ব্বাঙ্গসুন্দর করিবার চেষ্টা করিতেছে। কিন্তু নিদাঘের পর যখন স্নিগ্ধ গম্ভীর ভেরীনাদে বনভূমি বিকম্পিত করিয়া,-উজ্জলতাপিতাম্র গগন মেঘজালে স্নিগ্ধসরস করিয়া পয়োদীজালিবাহীপবনসহচর। বর্ষা দেখা দেয়, তখন-যখন গিরিকন্দর শিখিনৃত্যে মনোরম ও পন্বল ভেককলরবে মুখরিত হইয়া উঠে-বর্ষার প্রথম বারিধারা ধরাবক্ষ সরস করিতে না করিতে ধরণী, সেই সযত্নসংরক্ষিত বীজ হইতে নূতন শম্পান্তরণ বিস্তৃত করিয়া দেয়। তেমনই আমরা জীবনের যে সকল ঘটনা বিশ্বত হইয়াছি মনে করি, যে সকল ঘটনার কথা দৈনন্দিন জীবনের অজস্র ঘটনার মধ্যে-সংসারের নিত্য প্রবহমান ঘটনার স্রোতে-দেখা দেয় না, স্মৃতি