পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

šikiß, ახაo 1 সমালোচনা । প্রৌঢ়ার সঙ্গিনীর উক্তির কতকাংশ পরিত্যক্ত হইয়াছে । দ্বিতীয়, ভাষার কথা । গ্রন্থমধ্যে লেখক মহাশয় “রাত্রে” ও “চৈক্ষে” বহুবার ব্যবহার করিয়াছেন। চলিত ভাষায়-কথোপকথনে অনেক সময় “রাত্রির” স্থানে “রাত্রে” ও “চক্ষুতের” স্থানে “চক্ষে” ব্যবহৃত হইয়া থাকে, কিন্তু সে ব্যবহার অশুদ্ধ-সুতরাং আসিদ্ধ। যে “বঙ্গবাসী’ কার্য্যালয়ের চেষ্টায় “রামায়ণের’ ও ‘মহাভারতের’ বৰ্দ্ধমান রাজবাটী হইতে প্রকাশিত বিশুদ্ধ অনুবাদ বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে স্থান পাইয়াছে, “শাস্ত্রপ্রকাশ’ যে “বঙ্গবাসী’ কার্য্যালয়ের বিরাট অক্ষয় কীর্ত্তি, সেই ‘বঙ্গবাসী’ কার্য্যালয় হইতে প্রকাশিত পুস্তকে-দুর্গাদাস বাবুর মত প্রবীণ লেখকের রচনায় এরূপ অপাংক্তেয় শব্দের সমাদর একান্তই দুঃখের কারণ। লেখক মহাশয় “তখন” শব্দের প্রয়োগে অকারণ কার্পণ্য প্রকাশ করিয়ছেন। ৪৬ পৃষ্ঠায় আছে,- “এই বলিয়া, কীর্ত্তিDD DtBBD BBB DDDDD BB DBDK BBDSDKB BD L আপন আপনি বঁটি সংযত করিয়া গজ গজ করিতে করিতে মাছ কুটিতে বসিয়া গেল।” এস্থলে “তাহারা” শব্দের অব্যবহিত পূর্ব্বে বা পরে “তখন” শব্দ পরিত্যক্ত হইয়াছে। এরূপ দৃষ্টান্ত গ্রন্থমধ্যে অনেক আছে। লেখক লিপিকুশল, ভাষাসম্পদের অধিকারী ; কাযেই তঁহার পক্ষে এ সকল ক্রটি ইচ্ছাকৃত বলিয়া সন্দেহ হয়, এবং সেইজন্যই আমরা এত কথা বলিলাম। তৃতীয়, অন্যান্য কথা । লেখক গ্রন্থমধ্যে “গেট” ও “বাবু শব্দের প্রয়োগ করিয়াছেন। সমালোচনার প্রারম্ভে আমরা ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখকদিগের যে সকল বিপদের কথা বলিয়াছি, বর্ণিতকালে অপ্রচলিত ও পরবত্তী কালে প্রচলিত শব্দের ব্যবহার সেই সকলের মধ্যে একটি। এই গ্রন্থে বর্ণিত কালে “গেট” শব্দ প্রচলিত ছিল না ; “বাবু শব্দ প্রচলিত ছিল, কিন্তু গ্রন্থকার যেরূপ স্থলে তাহার ব্যবহার করিয়াছেন সেরূপ স্থলে ব্যবহৃত হইত কি না সন্দেহ। রাণী ভবানীর বিবাহে তদীয় পিতা “গৌরী দান” করিয়াছিলেন-ইহাই কিম্বদন্তী। লেখকও এই মত গ্রহণ করিয়াছেন ; কিন্তু ১৩ পৃষ্ঠায় ও ৪৫ পৃষ্ঠায় তিনি যাহা লিখিয়াছেন, তাহতে এ সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ থাকে । সে অবকাশ না থাকিলে ভাল হইত । মানসিক চাঞ্চল্য অনেক সময় শারীরিক চাঞ্চল্যে আত্মপ্রকাশ করে সত্য, কিন্তু মানসিক চাঞ্চল্যে শারীরিক-চাঞ্চল্য-বাহুল্য হয়। না । “চিন্তান্তরঙ্গ” শীর্ষক পরিচ্ছেদে এই অনাবশ্যক শারীরিক-চাঞ্চল্যবাহুল্য সপ্রকাশ। ১৯৫ পৃষ্ঠায় রামকান্ত বলিয়াছেন, “শ্বশুর মহাশয়কে তো আমিই জিদ করে’ বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছি।” কিন্তু ২৫৭ পৃষ্ঠায় প্রকাশ তিনি