পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩১৭ । কা বিশুদ্ধ জলের অভাব । , : ২৩১ বাঙ্গালাদেশে প্রকৃতি এবং মানুষ উভয়েই যথেষ্ট মাত্রায় বিশুদ্ধ জলের অভাব ঘটাইবার চেষ্টা করিয়াছে। উপরে যে অনাবৃষ্টির ভবিষ্যদ্বাণী করা হইল, তাহা লাইয়া কাহারও আহরনিদ্রা ত্যাগ করিবার প্রয়োজন নাই। কারণ, সে এত দুরের কথা যে, সে জন্য আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হইবার আবশ্যক নাই। মানুষ আপনার চেষ্টায় প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া অনেক হিত করিয়াছে এবং করিতে পারে। বাঙ্গালার যে বিশাল শক্তি-বৃথা চেষ্টায়, আলম্ভে, অকর্ম্মে ও কুকর্ম্মে ব্যয়িত হইতেছে, যদি কোন ঐশী মহিমার প্রভাবে সেই শক্তি নিয়ন্ত্রিত হইয়া ভূমিখননকার্য্যে ব্যয়িত হইত । মানবসৃষ্ট সুন্দর পদার্থনিচয়ের মধ্যে দীর্ঘ দীঘিকা একটি প্রধান স্থান অধিকারের যোগ্য। বিশাল পুষ্করিণীর অভাবে ভুবনেশ্বরের মন্দিরের সৌন্দর্য্য অৰ্দ্ধেকেরও অধিক অল্প হইয়া যাইত। বৰ্দ্ধমান সহরের যাহা কিছু সৌন্দর্য্য, তাহার বিশাল সায়রগুলির জন্য। শুনিয়াছি, রাজ-সমন্দিরের জন্যই উদয়পুরের অপূর্ব্ব সৌন্দর্য্য। দক্ষিণাবর্ত্তযাত্রিগণ নিশ্চয়ই টেপাকুলমের সৌন্দর্য্য জীবনে ভুলিতে পরিবেন না ! এখন পল্লীগ্রামের অনেক জমীদার পাশ্চাত্য প্রথায় পঞ্জীনিবাস রচনা করিতে অজস্র অর্থব্যয় করেন। যদি কোন কবি বা চিত্রশিল্পী তঁহাদিগকে কুমুদ-কাহলারপদ্মশোভিত, নীলাজল, বিশালসরোবরতীরস্থ অট্টালিকার অপুর্ব্ব সৌন্দর্ঘ্যের কথা বুঝাইয়া দিতেন ! DDDS DBDL Kuu SLEE S SDBBD S0 LESBt BDD BD SguBB BDBY স্থাপত্য বা শিল্পের নিদর্শন একান্ত বিরল। এ দেশে লৌহও নাই, পাতরও নাই ;. তাই বহুসংখ্যক স্থায়ী শিল্পনিদৰ্শন গঠিত হয় নাই। এ দেশের মৃত্তিকাও বোধ হয় পুরীর ও ভুবনেশ্বরের মন্দিরের মত বিশাল অট্টালিকা বহন করিবার উপযুক্ত নহে। তাই এদেশে স্থায়ী অট্টালিকাও নাই ! এ দেশে ছিল শুধু জলের সৌন্দর্য্য। এ দেশে প্রাচীন স্থাপত্য বিদ্যার একমাত্র স্থায়ী নিদর্শন আছে প্রাচীন পুষ্করিণীতে। মহীপালের নাম এখনও প্রসিদ্ধ। লোকের এখনও বিশ্বাস, বাঙ্গালার নদীগুলিতে বাঙ্গালী খানকের বিদ্যার পরিচয় এখনও পাওয়া যাইতে পারে • । শ্রীনিবারণচন্দ্র ভট্টাচার্য্য।

  • মুরশিদাবাদ জিলায় প্রবাদ যে, গঙ্গার ও পদ্মার সঙ্গমস্থলে গঙ্গার মোহানার তলদেশ তাত্রের চাদরের দ্বারা আবৃত ছিল । ১২৯২ সালের ভূমিকম্পের সময় সেই চাদর বাহির হয় এবং উহাকে তুলিয়া অনেক টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হয়। সেই চাদর উঠাইয়া লইবার পর হইতেই ভাগীরথীর দুর্দশা হইয়াছে।