পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

2nt, Yes9 সংগ্রহ SS Q2 ) ইতিহাস । অন্ধকূপে ইংরাজ রমণী। ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দের অন্ধকূপ-হত্যাকাণ্ড বাঙ্গালার ইতিহাসে একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার। ইংরাজ ঐতিহাসিকগণ বলেন যে, নবাব-সেনা ১৭৫৬ অব্দে কলিকাতা নগরী অধিকৃত করিবার পর কতকগুলি শ্বেতাঙ্গ নবাব-সৈন্যের হস্তে আত্মসমৰ্পণ করেন। হুগলীর শাসনকর্ত্তা মাণিকচাঁদ ঐ ইংরাজ নরনারীগণকে ফোর্ট উইলিয়মের কারাগৃহে অবরুদ্ধ করিয়া রাখিতে আদেশ করিয়াছিলেন। সেই কারাগৃহটি দৈর্ঘ্যেও প্রন্থে বার হাত মাত্র ছিল । নবাব-সেনাগণ সঙ্গীণ ও তরবারি দেখাইয়া সেই সঙ্কীর্ণ প্রকোষ্ঠে ১৪৬ জন শ্বেতাঙ্গকে প্রবিষ্ট করাইয়া দেয়। নিদাঘের প্রখর গ্রীষ্মে শ্বেতাঙ্গগণ তথায় আবদ্ধ হইয়া ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছাড়িতে থাকেন। সেই কারা প্রকোষ্ঠে দুইটি অতি ক্ষুদ্র গবাক্ষ ছিল। প্রাণাস্ত যন্ত্রণায় অস্থির হইয়া অবরুদ্ধ নরনারীগণ সেই গবাক্ষের সন্নিহিত হইতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন । ঠেলা ঠেলির ও হুড়াহুড়র ফলে অবরুদ্ধ শ্বেতাঙ্গ গণের কষ্ট আরও অধিক হইতে লাগিল৷ ” ফলে সেই ভীষণ নিদাঘ-রজনী যত অগ্রসর হইতে লাগিল, ততই তাহারা অবসন্ন হইয়া BDBD DBD SBBBB SgLLD SYEB L S KBDDL DDD BBDBD DDD মৃত্যুর ক্রোড়ে আশ্রয় লইলেন। পরদিন প্রভাতে রক্ষিগণ সেই কারা প্রকোষ্ঠের দ্বার উদযাটিত করিয়া দেখিল, ১৪৬ জন অবরুদ্ধ শ্বেতাঙ্গের মধ্যে ১২৩ জনের শবমাত্র পড়িয়া DBBBS BDD DB BD DDSLDBDBBDBDDD DBDB DBBBBBS DBDBD BD S DS হাসিক বলেন,-যে সকল শ্বেতাঙ্গ অন্ধকূপে হইতে রক্ষা পাইয়াছিলেন,-তাহদের মধ্যে কেবল মিসেস কেরীই রমণী । অন্ধকূপ-হত্যাকাণ্ডের প্রামাণিকতা লইয়া কিছু দিন পূর্বে বিতর্ক উপস্থিত হইয়াছিল। স্বৰ্গীয় ভোলানাথ চন্দ্র মহাশয়ই প্রথমে বলেন যে, দৈর্ঘ্যে ও প্রন্থে বার হাত প্রকোষ্ঠে ১৪৬ জন নরনারীকে প্রবিষ্ট করান নিতান্তই অসম্ভব । ইহার অতি অল্প দিন পরেই “বঙ্গবাসী’র খ্যাতনামা লেখক শ্রীযুত বিহারীলাল সরকার মহাশয় “জন্মভূমি” নামক মাসিক পত্রিকায় অন্ধকূপ-সম্পর্কিত ঘটনার অলীকত্ব প্রমাণিত করিবার উদ্দেশ্যে কয়েকটি সারগর্ভ প্রবন্ধ প্রকটিত করেন। তাহার পরই শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয় নানা যুক্তি ও প্রমাণ প্রয়োগে উক্ত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন। ফলে শেষোক্ত দুইজন খ্যাতনামা লেখকের যুক্তির ও তর্কের প্রভাবে অন্ধকূপ-সম্পর্কিত বিবরণ সম্পূর্ণ মিথ্যা, অনেকের মনে এইরূপ ধারণাই বদ্ধমুল হইয়া পড়ে। ইহার পর অধ্যাপক সি, আর উইলসন