ঢাকা । ] Vrd וייסיי htש ঢাকা । ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে পর্তুগীজ দসু্যদল আরাকান ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে আসিয়া বসবাস করিতে আরম্ভ করে। কোন কার্যই এই সকল অবিমূর্য্যকারী নিষ্ঠুর, লোভী জলদসু্যদিগের অসাধ্য ছিল না । ইহাদের অত্যাচারে ঐ সময় পুর্ববঙ্গের প্রজাগণের ধনপ্রাণ অত্যন্ত বিপদসঙ্কুল হইয়া উঠিয়াছিল। এই জলদসু্যদল ক্ষিপ্র গতিতে অতীব দক্ষতার সহিত নৌকা চালাইতে অভ্যস্ত ছিল। দসু্যতা ও লুণ্ঠনের দ্বারাই ইহারা জীবনযাত্রা নিৰ্বাহ করিত। ঘনান্ধকার স্তব্ধ নিশীথে দ্রুতগামী তরী বাহিয়া ইহারা নিঃশব্দে এক একটি সমৃদ্ধিশালী জনপদে আসিয়া পড়িত, এবং প্রচণ্ড বিক্রমে সুপ্ত জনপদবাসিগণকে আক্রমণ করিয়া তাহদের ধনজন লুণ্ঠন করিয়া লইয়া যাইত। কত নরনারী যে এই দুবৃত্তগণের ক্রর হন্তে পতিত হইয়া কঠোর দাসত্বে কালাতিপাত করিতে বাধ্য হইয়াছে, তাহার ইয়ত্ত : করা কঠিন । ইহাদের নির্ম্মম অত্যাচারে পূর্ববঙ্গের নিরীহ প্রজাকুল পরিত্রাহি ডাক ছাড়িতেছিল। এই পর্তুগীজ জলদস্যগণই তখন “বােম্বেটে” নামে অভিহিত হইত। তখন “বোম্বেটে” শব্দ উচ্চারিত হইলে বাঙ্গালার লোক শিহরিয়া উঠিত। পর্তুগীজ বােম্বেটে দলই কেবল সে সময় পূর্ববঙ্গবাসীর একমাত্র শত্রু ছিল না। আরাকানের মগেরাও পূর্ববঙ্গবাসীর বন্ধবৈরী ছিল। দসু্যতায়, নিষ্ঠুরতায় ও লুণ্ঠনে আরাকানী মগের পর্তুগীজ বোম্বোেটদিগের অপেক্ষা কোন অংশেই নূ্যন ছিল না। “মগ” বলিলে তখন ঘোর অত্যাচারী দুর্বৃত্ত, ও নিষ্ঠুর লোক বুঝাইত। “মিগের মুলুক” কথাতে এখনও বাঙ্গালীর মনে মগদিগের সেই প্রাচীন অত্যাচারের তীব্র স্মৃতি জাগরিত করিয়া দেয় । 铨 পর্তুগীজ ও মগদিগের অত্যাচারে যখন পূর্ববঙ্গ থর থর কঁাপিতেছিল, সে সময় তথায় ঘোর অরাজকতা উপস্থিত। পাঠানদিগের গৌরব-তপন তখন অস্তমিত, মোগলদিগের শৌর্য-শশধর তখন ষোলকলার সমুদিত। ইতঃপূর্বেই পাঠানগণ রাজ্যভ্রষ্ট হইয়া উড়িষ্যায় আশ্রয় লইয়াছিল, মোগলগণ ব্রহ্মপুত্র নদের তীর পর্য্যন্ত সমস্ত বাঙ্গাল করায়ত্ত করিয়াছিল। তাহদের দুৰ্দান্ত সর্দার কাতলু খাও মানসিংহের প্রতাপে ভগ্নহৃদয় হইয়া প্রাণ হারায়েন। কতলুর পুত্র ওসমান তখন সপ্ত সহস্ৰ অশ্বারোহী ও ছয় সহস্ৰ পদাতিক লইয়া পূর্ববঙ্গে বিচরণ করিতেছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীর প্রারম্ভে বুড়ীগঙ্গার তীর পর্যন্ত
