পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাখন, ১৯১৭ 1 পরলোকগত চন্দ্রনাথ বসু। - ৩৬৫ ৷ at . . . . . . . . . . . . काल शांश फूवांश उांश ट्रविवांत्र डिनिन, भांश् जश्व চেষ্টায় তাহা ভাসাইয়া রাখিতে পারে না। তাহা ডুবিয়া যাওয়াই উচিত। কালের ন্যায় সুন্দর চমৎকার বিচক্ষণ জীবনচরিত-লেখক আর নাই।” (জীবনের কথা-ত্রিধারা)। কথাটি একদিক দিয়া দেখিলে ঠিক ; স্থায়িত্ব এবং অস্থায়িত্ব : সম্বন্ধে কালষ্ট শ্রেষ্ঠ মাপকাঠি। কিন্তু জীবনচরিত লেখার উল্লেখ্য কেবল তাহাই নহে। যে সকল মহাত্মা ভিন্ন ভিন্ন দেশে, ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জন্মগ্রহণ করিয়া তঁহাদের দেশ, সমাজ বা সমাজের কোন অংশের উপর প্রভাব-বিস্তার করিয়াছেন, তঁহাদের জীবনচরিত উপদেশের আকরভূত। তঁাতাদের আশা ও নৈরাশ্য, ক্ষমতা ও অক্ষমতা, সফলতা ও বিফলতার মধ্য দিয়া কেমন করিয়া একটি মহৎ উদ্দেশ্য ধীরে ধীরে মানবসমাজকে উন্নতির আবর্তনশীল পথে লইয়া গিয়াছে, ঈহ! সব সময়েষ্ট কৌতুহলাজনক এবং শিক্ষাপ্রদ। সুতরাং জীবনচরিতের মূল্য সম্বন্ধে চন্দ্রনাথ বাবুর সহিত একমত না হইতে পারিলেও প্রত্যবায়গ্রস্ত হইতে হইবে না । বড় বড় লোকের জীবন হইতে অনেক শিক্ষালাভ করা যায়, বিশেষ যখন সেই সকল লোক লোকশিক্ষার ভার গ্রহণ করিয়াছেন। সমাজ অথবা সমগ্র মানব জাতির মঙ্গলের জন্য যখন ইহঁরা গম্ভীর উদাত্ত স্বরে সত্যেরস্বরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন, তখন মানবমণ্ডলী মুগ্ধ বিস্বফারিতনেত্রে তাহদের দিকে সাম্রামে চাহিয়া রহিয়াছে। চন্দ্রনাথ বাবুর গ্রন্থগুলি পাঠ করিলে এই ধারণাই মনে আইসে, যেন তিনি একটি গুরুতর কর্ত্তব্যের আহবানে, বাঙ্গালী হিন্দুসমাজকে প্রবুদ্ধ করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছিলেন। লোকশিক্ষার জন্যই তিনি লেখনী গ্রহণ করিয়াছিলেন, সেইজন্যই তঁাহার গ্রন্থে নিস্ফল রচনা একরূপ বিরল। তিনি দেখিলেন যে, পাশ্চাত্যশিক্ষার বন্যায় দেশের যাহা কিছু ভাল, বাঙ্গালীর যাহা নিজস্ব, তাহা ভাসাইয়া লইয়া চলিয়াছে, সামঞ্জস্য ( Homogenicity ) বিহীন সমাজ আলোড়িত, বিক্ষুব্ধ, বিচলিত হইয়া উঠিয়াছে, তাই তিনি তঁাহার সমস্ত শক্তি দিয়া প্রাচীরের মত স্থির ও অটলভাবে সেই প্লাবনের গতিরোধ করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। সে প্লাবন যে কি ভয়ানক তাহ সেই সময়কার ইতিহাস পাঠ না করিলে বুঝিতে পারা যায় না। ইংরেজ বণিককোম্পানী যখন ভারতের রাজ্যভার গ্রহণ করিলেন, তখন তঁহাদের সংসর্গে আসিয়া, তাহদের ন্যায়পরতায় ও অন্যান্য কতকগুলি সদগুণে এদেশীয় লোকদিগের মত এই নুতন জাতির আচার ব্যবহারের পক্ষপাতী ।