র্য্যাবর্তী ኙእሻኯቐቖ....ህ ፩ሻቒቑኽP€ কর্ম্ম করিয়াছে। তুমি আমার কাছে এই অন্যায়ের বিচার প্রার্থনা করিতেছ; } কিন্তু আমি কি বিচার করিব ? মানুষ কি মানুষকে এমন করিয়া মারিতে পারে ? এমন অত্যাচার কি মানুষের কায ? আমি ত তোমাদের অনেকবার বলিয়াছি, মানুষ মানুষকে ভালবাসে, অন্যের দুঃখ কষ্ট দূর করে, সদ্ব্যবহারে অন্যের হৃদয় &জয় করে। অন্তের দুঃখমােচন, অন্যের উপকারসাধন মানুষের ধর্ম্ম ; মানুষের দেহ লইয়া যে সেই ধর্ম্ম পালন না করে, সে মানুষ নহে। তাহার বিচার কি কুরিব? আজ যদি তুমি কোন বনে গিয়া বাঘের হাতে পড়িতে, সেই বাঘ যদি তোমাকে কামড়াইয়া আঁচড়াইয়া তােমার সর্বাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করিত, তাহা 歇 - ه= i. 8.ه ጎሩ نام | হুইলে কি তুমি, আমার কাছে সেই বাঘের নামে নালিশ করিতে আসিতে ? ट्रवि७ মনে কর, তোমাকে বাঘে ধরিয়াছিল। তুমিও সকল ক্ষোভ ত্যাগ কর, কখনও তাহার কোন ক্ষতি করিবার চেষ্টা করিও না। অন্যের ক্ষতি করা মানুষের ধর্ম্ম নহে। আমি তাহাকে ক্ষমা করিলাম, তুমিও তাহাকে ক্ষমা क्ज्ञ বলরামচন্দ্র সমেহে বলাইকে আলিঙ্গন করিলেন, এবং তাহার সর্ব্বাঙ্গে झोङ বুলাইয়া দিলেন ; বলাই মনঃক্ষোভ ত্যাগ করিল। এই একটিমাত্র ঘটনায় বলরামচন্দ্রের হৃদয়ের মহত্ত্ব উপলব্ধ হয়; দুর্ব্বলের ক্ষমাশীলতার কোন মূল্য নাই, এ কথা আমরা স্বীকার করি, কিন্তু সহস্ৰ সহস্ৰ শিষ্যের মুক্তিদাতা বলরামচন্দ্র দুৰ্বল ছিলেন না, তাহার মালো, চাঁড়াল, হাড়ী, বাগদী প্রভৃতি শিষ্যেরা তাহার উপদেশে ও চরিত্রগুণে মেষবৎ শান্তভাবে কালযাপন করিলেও বলরামচন্দ্র যদি তাহাদিগকে একটু ইঙ্গিত করিতেন, তাহা হইলে তাহারা জমীদারবাবুকে বিপন্ন করিতে পারিত, এ বিষয়ে সন্দেহ নাই। বলরামচন্দ্রের হৃদয় এই প্রকার বিনয়ে ও ক্ষমাশীলতায় পূর্ণ হইলেও তাঁহার সঙ্কল্পের দৃঢ়তার ও তেজস্বিতার পরিচয় পাইলে বিস্মিত হইতে হয়। মেহেরপুরের মালোপাড়ায় বলরাম আশ্রম নির্ম্মণপূর্বক বাস করিতে আরম্ভ করিলে, মেহেরপুর মিউনিসিপালিটির ক্ষুধাতুর দৃষ্টি তাহার আশ্রয়ের উপর নিপতিত হইয়াছিল। মিউনিসিপালিটির কর্তৃপক্ষ আদেশ করিয়াছিলেন, তাঁহাকে ট্যাক্স দিতে হইবে। বলরাম বলেন, তাহার আখড়া দেবতার স্থান, তিনি ট্যাক্স দিবেন না।-অনেকে তাহাকে বুঝাইয়া বলিল, মিউনিসিপালিটির আইন বড় কড়া ; ট্যাক্স না দিলে, মিউনিসিপালিটির পেয়াদা তাহার ঘটী, বাটী, লেপ, কঁথা কাড়িয়া লইয়া যাইবে, তাহা বিক্রয় করিয়ার্ট্যাক্স-আদায় করিবে। বলরামচন্দ্র বলিলেন, “তাহারা যাহা
