পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুষ্কোণ আসনে অশ্বখবৃক্ষ, ; ইহার চতুষ্পার্থে স্তম্ভশ্রেণী বিন্যস্ত। বৃক্ষকাণ্ডের । উভয় পাশ্বে স্তম্ভশীর্ষে ধর্ম্মচক্র ও তদুপরি ত্রিরত্ন। বৃক্ষের শাখায় শাখায় অসংখ মাল্য লন্বিত। আকাশে গন্ধর্ব্বগণ বংশীনিনাদ করিতেছে ও সুপর্ণাগণ ইতস্ততঃ পুষ্পবৃষ্টি করিতেছে। বৃক্ষকাণ্ডের চারিপার্থে উপাসক ও উপাসিকগণ ও সঙ্ঘারামের গবাক্ষে অসংখ্য দর্শক চিত্রিত রহিয়াছে। স্তম্ভ-বেষ্টনের বহির্দেশে একটি বৃহদাকার স্তম্ভ ও তােষ্ট্ৰীর্ষে শুণ্ডে মাল্য লইয়া দণ্ডায়মান একটি হস্তীর মূর্ত্তি। ইহাই ভগবান শাক্য-মুনির বোধিদ্রুম। স্তম্ভ-বেষ্টন ও বহির্দেশস্থ স্তম্ভ মহারাজ ধর্ম্মাশোক-বিনির্ম্মিত। অপর স্থানে স্তম্ভশ্রেণীর উপর বিন্যস্ত দ্বিতলগৃহ। :প্তম্ভশ্রেণী-বিভাগের মধ্যে বেদী, উহার উপরিভাগে পুষ্পাদি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে ও একপার্থে ষোড়শটি মানবহুস্তাঙ্ক। মহাবােধি দ্রুমের পার্থে ভগবান শাক্যমুনি সম্বোধিলাতের পর যে স্থানে সপ্তদিবসকাল মনুষ্যের হিতচিন্তায় মগ্ন হইয়া পরিক্রমণ করিয়াছিলেন, পরে ধর্ম্মাশোক সেই স্থানে এই বিহার নির্মাণ করিয়াছিলেন, ইহাই ভগবানের সংক্রমণের স্থান। একটি সূচীগাত্রে এই চিত্রটি অঙ্কিত আছে। অপরস্থানে চারিটি স্তম্ভশীর্ষে সংন্যস্ত বিহারের মধ্যে, রত্নখচিত আসনে, ভগবানের ধর্ম্মচক্র, চক্রের উপরে ছত্র ও মাল্য, পাশ্বে উপাসক ও উপাসিকাগণ । বিহারের দক্ষিণ পার্থে বিশাল তোরণদ্বার, ইহা এত উচ্চ যে হস্তিপক আরোহী লইয়া ইহার অভ্যন্তরে আরোহীকে প্রবেশ করাইতেছে। তোরণের পশ্চাতে দ্বিতীয় হস্তিপক হন্তীর আহারের জন্য একটি বৃক্ষকে পল্লবশুন্য করিতেছে ; বামপার্থে অশ্বচতুষ্টয়-বাহিত রথ দুইটি আরোহী লইয়া দ্রুতবেগে বিহারাভিমুখে আগমন করিতেছে, ইহার পশ্চাতে একটি বৃক্ষে একটি ছত্র রহিয়াছো-কোন দরিদ্র উপাসক স্থানাভাবে চক্ররাজের উদ্দিষ্টছত্র বৃক্ষে নিবিষ্ট করিয়া গিয়াছে। অপর স্তম্ভে বৃত্তমধ্যে মায়াদেবীর গর্ভধারণের চিত্র । খট্রায় মায়াদেবী সুষুণ্ডা, খট্টানিয়ে ভুঙ্গার ও পাদদেশে প্রদীপ, নিম্নে আসনদ্বয়ে উপবিষ্ট পরিচারিকদ্বয় ব্যজনে ও সেবায় নিযুক্তা, একজন সখী করযোড়ে মায়াদেবীর মস্তকের নিকটে উপবিষ্ট রহিয়াছেন। উৰ্দ্ধে শ্বেতহস্তী। ভগবান শ্বেত হস্তীর আকার ধারণ করিয়া মায়াদেবীর গর্ভে আশ্রয় লইতেছেন। অপর স্তম্ভে বৃত্তমধ্যে পর্বতশ্রেণী অঙ্কিত রহিয়াছে, পৰ্বতের মধ্যদেশে বিশাল গুহা ও তন্মধ্যে রত্নখচিত আসন। আসনের উৰ্দ্ধে ছত্র। চতুস্পার্থে উপাসকগণ উপবিষ্ট রহিয়াছেন। গুহার বহির্দেশে সিংহ, শৃগাল, ময়ুর, বানর প্রভৃতি নানা জীব অঙ্কিত রহিয়াছে। গুহাদ্বারের সান্নিধ্যে সপ্ততন্ত্রী বীণা হন্তে লইয়া গন্ধর্ব্ব পঞ্চশিখ দণ্ডায়মান। ইহা ইন্দ্রশিলাগুহা । একদা