*** " •. '; ኃ8 %§ኔ‛%..ጅቖ..ቋኞሯ iነ• }
দ্বারা সংসাধিত হইয়াছে। অমঙ্গল-নিবারণ যখন পুরুষের পক্ষে দুঃসাধ্য, তখনও রমণীর পক্ষে সহজসাধ্য ।” s রাজা মুগ্ধনেত্রে পুরোহিতের দিকে চাহিয়া রহিলেন । পুরোহিত বলিতে । লাগিলেন, “রমণীর শক্তি হইতে স্নেহ-প্রেম-ভালবাসা এ সকলের উৎস উৎসারিত হয়—জগত মঙ্গলময় হয়। প্রকৃতি শক্তিময়ী ; রমণী তাঁহারই অংশ। প্রকৃতি যখন তাণ্ডব নৃত্যে মাতিয়া উঠে তখনই জগতের ধ্বংসের বিষাণ বাজিয়া । উঠে। কিন্তু চাহিয়া দেখ, প্রকৃতি স্নেহময়ী, কোমল, সরলা, সুশীলা, সর্ব্ব-” সৗন্দর্য্য-বিভূষিতা। কোন দুষ্কর কার্য্য। রমণীর সাধ্যায়ত্ত নহে? মা জগজ্জননীজগদ্ধাত্রীরূপে সংসারপালন করেন, আবার ছিন্নমস্তারূপে আপনি আপনাকে, ধ্বংস করেন—সে ধ্বংস কেবল নূতন সৃষ্টির সূচনা। আজ রাজপুতগৌরব ধূল্যব-. লুষ্ঠিত—কারণ, রাজপুতরমণী মোগলের বিলাসের বশীভূত হইয়া শক্তি হারাইতে " . বসিয়াছে। যতদিন সে শক্তি অনাহত ছিল, ততদিন রাজপুতের দুর্দশা ঘটে নাই যদি সে শক্তি আখার জাগিয়া উঠে, তবেই এ দুঃখনিশা পোহাইবে । সে निम মঙ্গলময়ী-রণরঙ্গিণী মূর্ত্তিতে অমঙ্গল বিনষ্ট করিয়া মঙ্গলের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করিবেন। মা, সে দিন আসিবে কি ?” পুরোহিতের কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হইয়া গেল। তিনি যুক্ত করে ভক্তিভরে উদ্দেশে । শক্তিকে প্রণাম করিলেন । পুরোহিতের কথা শুনিয়া রাজার শিরায় শিরায় রক্ত-স্রোতঃ প্রবলবেগে বহিতে । লাগিল ; আর—সঙ্গে সঙ্গে তাঁহার মনে হইল, রাজপুত রমণীর শক্তির সহায়তা ? পাইলে তিনি কি না করিতে পারিতেন ? তিনি দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিলেন। , . পুরোহিত বলিলেন, “বৎসগণ, আমি তোমাদের কার্য্যে বাধা দিয়াছি। আমি । प्रतिगान ।” রাজা বলিলেন, “আপনি আমার কর্ত্তব্যের দিকে আমার দৃষ্টি আকৃষ্ট করাইয়া- . ছেন। আপনার রোপিত বৃক্ষের ফলে আপনার আনন্দ হইবার কথা। আপনি । আমাদের প্রস্তাব শ্রবণ করুন।” . . . . . পুরোহিত উঠিয়াছিলেন, পুনরায় আসন গ্রহণ করিলেন। . . . . রাজা তখন র্তাহার প্রস্তাবের কথা, শঙ্কর সিংহের সঙ্কল্পিত দৌত্যের কথা- ৷ সব পুরোহিতকে বলিলেন। বৃদ্ধ রাজার কার্য-প্রণালীর সমালোচনা করিয়া কোন কোন বিষয়ে কিছু | কিছু পরিবর্তন করিতে বলিলেন। যে সকল সস্তাবনার কথা রাজার মনে হয়:
