পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(R আর্য্যাবর্ত্ত । » R Kś-YT YRINT সামান্য চর হইতে এত উচ্চ ভূমিখণ্ডে পরিণত হইল, সেই বিষয় আলোচনা করিতে যাইয়া নিৰ্দেশ করিয়াছিলেন যে, এই মধুপুর জঙ্গলস্থ প্রদেশসমূহ কোন প্রকার “উৰ্দ্ধগমন। ফলে” উখিত হইয়াছে এবং সেইজন্যই ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ মেঘনা ও শ্রীহট্টের ‘বিলের” দিকে প্রবাহিত হইয়াছে। কিন্তু এ কথা সহজে স্বীকার করা যায় না। কারণ তাহা হইলে সমস্ত, প্রদেশেই বহু নৈসৰ্গিক চিহ্ন প্রকটিত থাকি ত..। আর যদি মধুপুর জঙ্গল এই প্রকার উৰ্দ্ধগমনজন্য উচ্চতা লাভ করিয়া থাকে তাহা হইলে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ সাধারণতঃ ও স্বভাবতঃ পশ্চিম দিকে ধাবিত হইত । তিব্বতের সাম্পু নদীর জল পাইয়া ব্রহ্মপুত্রের শক্তি বিকাশ করিবার সুবিধা হইয়াছে। পূর্ব্বে মানচিত্রে সম্পূর প্রবাহ-পথ অন্তরূপ প্রদৰ্শিত হইত ; কিন্তু মিষ্টার রেনেল ১৭৬৫ খৃঃঅব্দে স্থির করেন যে, সাম্পূর জল ডিহাং নদী হইয়া ব্রহ্মপুত্রে, পতিত হইতেছে। এই জল না পাইলে ব্রহ্মপুত্রের এত শক্তি বিকাশ বোধ হয় সম্ভবপর হইত না । আর মিষ্টার বরাভঁ ও মিষ্টার হেডিন যাহা বলিয়াছেন, তাহাতে স্পষ্টই প্রতীত হয় যে, এই জলাগমের পূর্বে ব্রহ্মপুত্র নন্দ গঙ্গা নদী অপেক্ষী নিস্তেজ ও অল্পশক্তিসম্পন্নছিল। আর সেই জন্যই গঙ্গার আনীত পলী স্তরসস্তুত মধুপুর : চর বা আধুনিক মধুপুর জঙ্গল ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহকে স্থান ভ্রষ্ট করিয়া দিয়াছিল। কিন্তু যখন ডিহাং নদী দিয়া সাম্পূর জল একত্রিত হইয়া ব্রহ্মপুত্রে আসিয়া পড়িল তখন ব্রহ্মপুত্রের গতি আ প্রতিহত হইয়া উঠিল । অধুনা আবার তিস্তা নদীর ‘বিশ্বাঘাতকতায়’ গঙ্গার যে পরিমাণ ক্ষতি হইয়াছে ব্রহ্মপুত্রের সেই পরিমাণ শক্তিবৃদ্ধি হইয়াছে। ১৭৮৭ খ্রীঃঅব্দে তিস্তানদীর জল, গঙ্গা-বক্ষ প্রবাহিত না করিয়া সহসা ব্রহ্মপুত্রে আসিয়া পড়ে ; আর সেই অবধি ব্রহ্মপুত্রের শক্তি অত্যন্ত বাড়িয়া উঠে । ইহার ফল কি হইবে তাহ প্রথমে কেহ বুঝিতে পারে নাই । ইহার পর হইতে গঙ্গার ও ব্রহ্মপুত্রের সংগ্রাম আরব্ধ হইয়াছে, সংগ্রামের শেষ হইয়া যে ফলাফল নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে এমন মনে হয় না। হয়ত ভবিষ্যতে এই সংগ্রাম ফলেই বঙ্গের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ নূতন ভাবে গঠিত হইবে। ব্রহ্মপুত্র এখন যেরূপ ক্ষমতাশালী, তাহাতে সে যে তাহার বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকিবে এমন বোধ হয় না। কারণ, যত দিন পর্যন্ত আসামের উপত্যক প্রদেশ সম্পূর্ণ ভাবে সমতলাকার ধারণ না করে, ততদিন ব্রহ্মপুত্র দ্বীয় তেজ ও পরাক্রম