পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/৮০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম বর্ধ-১১শ সংখ্যা। জীবন সংগ্রাম ; জীবনে মানুষকে পাপকে পরাজিত করিয়া পুণ্যপথের পধিক হইতে হয়-অমঙ্গলকে পরাজিত ও পদদলিত করিয়া মঙ্গলকে অবলম্বন করিতে হয়। এই সংগ্রামেই মানুষের মনুষ্যত্ব। সেই সংগ্রামকে বর্জিত করিয়া মানবের উত্থানের ও উন্নতিীয় অস্বাভাবিক চিত্র অঙ্কিত করিয়া মানব-সমাজের কোন উপকার সাধিত হইতে গায়ে না। ::: মিষ্টার ইটন যুরোপে নাটকে যে অস্বাভাবিকতার প্রাবল্যের ও আদরের কথা বলিয়াছেন অন্য দেশেও তাহা বিরল নহে। আমাদের দেশের পুরাণ সাহিত্য অন্য সকল দেশের পুরাণ সাহিত্য অপেক্ষা বিপুল। এই সাহিত্যে পাপের পরাজয় ও পুণ্যের জয় বহুস্থানে ঈশ্বরানুগ্রহে অমানুষী উপায়ে সম্পন্ন হইবার কথাই দেখা যায়। আর আমাদের,নাটককারগণও সেইরূপ চিত্র বর্ণবৈচিত্রে সুন্দর কারিয়া তুলিতে প্রয়াসী। অন্য দেশে সাধুসন্যাসী সম্প্রদায় জনসংখ্যার তুলনায় নগণ্য-এদেশে তাহদের সংখ্যাধিক্য বিস্ময়কর। ; এদেশে তাহারা একটি স্বতন্ত্র ও শক্তিশালী সম্প্রদায়। কিম্বদন্তীবলে তাহারাও বহুবিধ অলৌকিক কার্য্যের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছে। এ অবস্থায় নাটক কারের পক্ষে गब्रज ও বিশ্বাসী পাঠক ও দর্শকদিগের জন্য অলৌকিক চিত্র চিত্রিত করিবার প্রলোভন সম্বরণ করা সর্বত্র সহজ নহে। কিন্তু যে নাটককার সে প্রলোভন পরিত্যাগ করিয়া বাস্তব জীবনের চিত্র চিত্রিত করিয়া মানুষকে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতে প্রয়াসী করিতে পারিবেন, তিনিই মানব-সমাজের প্রকৃত উপকার করিবেন। विष्ठान। a populu হিন্দু রসায়ন । ३ानोड्न অনেক ইংরাজী শিক্ষিত ও শিক্ষিত-ভাবাপন্ন ব্যক্তির বিশ্বাস এই যে, iौन ভারতে জড় বিজ্ঞানের চর্চা আদৌ হইত না,-প্রাচীন মনীষিগণের বুদ্ধি কেবল “তৈলখার পাত্র” কি “পাত্রাধার তৈল" প্রভৃতির বিচারেই ব্যাপৃত থাকিত। প্রাচীন ভারতে অধ্যাক্স বিজ্ঞানের আলোচনা অনন্যসাধারণ হইয়াছিল সত্য, কিন্তু জড় বিজ্ঞানের আলোচনা ও উন্নতি যে হয় নাই, এরূপ অনুমান করিবার কোনও কারণ নাই। বর্তমান যুগের সতর্কতাপূর্ণ অনুসন্ধানের আলোক-সম্পাতে বিস্মৃতির তমোময় বিবরন্থ অনেক লুপ্ত তথ্যের ক্ষীণ। রশ্মি ইদানীং লোকলোচনে প্রতিভাত হইতেছে। সম্প্রতি ভারতের সুসন্তান অসামান্য প্রতিভাশালী মনস্বী ডাক্তার শ্রীঘুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র রায় মহাশয়ের অক্লান্ত অনুসন্ধানের ও অদম্য। উৎসাহের ফলে, প্রাচীন ভারতে রসায়ন-শাস্ত্রের উন্নতিসম্পর্কে কতকগুলি তথ্য । * আবিষ্কত ও শিক্ষিত সমাজে প্রচারিত হইয়াছে। সম্প্রতি ডন” পত্রে সেই সম্বন্ধে কিছু লৈযোদু হইয়াছে। ।