DDS LHtS S SuSuS BY BESSi aDH প্রাচীন-ভারতে রসায়ন বিদ্যা (Chemistry) ষে বিশেষ উন্নতিলাভ করিয়াছিল, তাহা ডাক্তার পি, সি, রায় মহাশয় তাহার History of Hindu ' ' Chemistry নামক গ্রন্থে অবিসংবাদিত রূপে সপ্রমাণ कब्रिॉइन । ভঁাহার এই অমূল্য গ্রন্থ দুই খণ্ডে বিভক্ত। হিন্দুগণ রসায়ন বিদ্যার আলোচনা করিতেন। এবং সেই আলোচনার ফলে তঁাহারা ঔ বিদ্যায় অসাধারণ উন্নতিলাভে সমর্থ হইয়াছিলেন,-“প্রফুল্ল বাবু তদীয় গ্রন্থে এই সত্য বিশিষ্টরূপে সপ্রমাণ করিয়াছেন। তাহার ফলে “প্রতীচ্য খণ্ডে ভাবান্তর উপস্থিত হইয়াছে। তথাকার মনীষিগণ ভারতকে এতদিন বে। দৃষ্টিতে দেখিতেন—এখন আর সে দৃষ্টিতে দেখিতেছেন না । জর্ম্মানীর বিখ্যাত রসায়নবিদ্যাবিশারদ হার্ম্মােণ সিলুজ ( Hermann Scheleuz) প্রফুল্ল বাবুর এই গ্রন্থ পাঠ করিয়া আনন্দে আত্মহারা হইয়া পড়িয়াছেন। জীবিত রসায়নবেত্ত গণের মধ্যে ইহঁর মতই। সর্ব্বাপেক্ষা প্রামাণ্য বলিয়া পরিগৃহীত। ভৈষজ্য-রসায়ন সম্বন্ধে৷ ইহঁর সিদ্ধান্ত বর্ত্তমান কালে অভ্রান্ত বলিয়া সম্মানিত। এই সর্ব্বজন-সন্মানিত রসায়নবিদা-বিশারদ পণ্ডিত স্পষ্ট ভাষায় অকুণ্ঠ কণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন যে ‘রসরত্ন সমুচ্চয়’ গ্রন্থ পাঠে জানা যায়, খ্রীষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দী পর্য্যন্ত প্রতীচ্য রসায়নবিৎ পণ্ডিতগণ উক্ত শাস্ত্রে যেরূপ উন্নতিলাভে সমর্থ হইয়াছিলেন,-তােহাঁদের সমকালীন হিন্দু রসায়নবিদগণ তাহা অপেক্ষা অনেক অধিক DDDuBDBD uBBDB DBBBDBD S SLDBDBDD D DDBBuBB sDuDD SsDB gg sBDBBBD হইলেই য়ুরোপে হুলস্থূল পড়িয়া যায়। কিঞ্চিদধিক এক বৎসর হইল তাহোৱা গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হইয়াছে। ইহার ফলে যুরোপখণ্ডে রসায়ন-বিদ্যাবু ইতিহাস নূতন ॐद थांझवं कशिांgछ । গ্রীকদিগের প্রভাবেই ভারতে অনেক বিদ্যার আলোচনা হইয়াছিল,-ইদানীং অনেক য়ুরোপীয় পণ্ডিত এই কথা সপ্রমাণ করিবার জন্য অতিমাত্র ব্যস্ততা ও আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকেন। ডাক্তার রায় মহাশয় অকাট্য প্রমাণ-প্রয়োগ ও যুক্তি সহকারে প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে, হিন্দুর রসায়ন-বিদ্যা বৈদেশিক । প্রভাবে প্রভাবিত হয় নাই। নাগার্জনপ্রমুখ প্রাচীন মনীষিগণের চেষ্টায় প্রাচীন ভারতে , রসায়ন-বিদ্যার উন্নতি হইয়াছিল। নাগাৰ্জ্জুন সম্রাট শালিবাহনের বন্ধু ছিলেন,-ইহা তঁহার শিষ্য রত্নঘোষের উক্তি এবং প্রাচীন জনশ্রুতি দ্বারা সমর্থিত হইতেছে। নাগাৰ্জন । বৌদ্ধদিগের মধ্যে রসায়ন শাস্ত্র আদৃত করিয়া যায়েন। ইহার পুর্বে এই বিদ্যা কিছুদিন । অনাদৃত হইয়া পড়িয়াছিল। খ্রীষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে হিন্দু রসায়সনবিৎ গোবিন্দাচার্য্য র্তাহার প্রণীত রসসার’নামক গ্রন্থে স্বীকার করিয়াছেন যে, তিনি বৌদ্ধদিগের এবং তিব্বতীয় বৌদ্ধাদিগের নিকট হইতে অনেক তথ্য সংগ্রহ করিয়াছেন। হিন্দুদিগের অনেকগুলি । রসায়নতন্ত্র এখনও বিদ্যমান আছে। যথা,-রসেন্দ্রচূড়ামণি, রসেন্দ্রচিন্তামণি, রসরত্ন সমুচ্চয়। এবং রাসসার। ডাক্তার রায় বলেন বৌদ্ধগণ রসায়ন শাস্ত্রের প্রচুর উন্নতি করিয়াছিলেন । কিন্তু ইহাও সত্য যে, হিন্দুদিগের তন্ত্রগ্রন্থ বৌদ্ধগণের রসায়নগ্রন্থ হইতে অনেক বিষয় গ্রহণ করিয়া তাহ নিজস্ব করিয়া লইয়াছে। · · . a ইতিহাসে যুগান্তর। স্বাধীন বিকাশ ।
