চৈত্র, ১৩১৭ । কৃষিতত্বের আলোচনা। ’ レ・・ পুস্তক অবলম্বনে কোন খাদ্য পাক করিতে ইচ্ছা করিলেন। অনন্তর পুস্তকেয় প্রণালী অনুসারে বেগুন পোড়া প্রস্তুত হইল, বেগুন পোড়া তৈয়ার করিতে তাহাদের ১॥০ টাকা খরচ হইল। অবশ্য উপাদেয় বেগুন পোড়া হইল; কিন্তু খরচ । পড়িল ১৷০ টাকা। সখের উপর এক আধাদিন মাত্র এইরূপ ১৷০ টাকা । খরচ করিয়া বেগুন পোড়া খাওয়া যাইতে পারে বটে, কিন্তু আমাদের কৃষকগণের - কৃষিকার্য্য ত সখের উপর নহে ; ইহাই তাঁহাদের উপজীবিকা। সুতরাং ১০ : টাকা খরচ করিয়া বেগুন পোড়া খাওয়ার মত, বৈজ্ঞানিক প্রণালীসন্মত কৃষিকার্য্য । করিয়া সর্বস্বান্ত হইতে তাহারা একেবারেই অসম্মত । কৃষিবিভাগের সুযোগ্য যুরোপীয় কর্ম্মচারিগণ দুঃখ করিতেছেন যে, । ভারতবর্ষের কৃষকগণ বৈজ্ঞানিক প্রণালী অবলম্বন করিতে একেবারেই অসম্মত ; ; তাহারা বলে যে, এতদিন যে ভাবে তাহদের বাপ-পিতামহ কৃষিকার্য্য চালাইয়া আসিয়াছে, তাহাই ভাল ; তাহদের নূতন পদ্ধতি শিক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই। " সুযোগ্য কর্ম্মচারিগণের মতে আমাদের চাষারা ভারি বোকা, বড়ই conser:- [ vative। শুধু যুরোপীয় কর্ম্মচারিগণ নহেন, কৃষিতত্ত্ববিৎ মাননীয় রায়, ভূপালচন্দ্র বসু বাহাদুর পর্য্যন্ত এই মতের পক্ষপাতী। তিনি লিখিয়াছেন,- “ "To my mind the Indian cultivator is a living emblem of inertia and those whose duty it is to inculcate doctrines of improvement upon his mind cannot help feeling at times that his task promises a scarcely more hopeful issue than the proverbial labour of the mountain.” fra OfN31 - গণের কোন দোষ দেখিতেছি না। যেদিন তাহদের চক্ষুর সমক্ষে কার্য্যে, ‘’ ( কাগজ-কলমে নহে ) দেখাইয়া দিবেন যে, কোন একটি বৈজ্ঞানিক বা অবৈজ্ঞানিক প্রণালী অবলম্বন করিলে তাহদের দুই টাকা অর্থাগমের সুবিধা ? আছে, সেই দিনই তাহারা সাগ্রহে সেই প্রথা অবলম্বন করিবে। কিন্তু যতদিন । তাহারা দেখিবে যে, সরকারী প্রণালী কেবল “বহুবারম্ভে লঘুক্রিয়া”-কেবল - টাকার শ্রাদ্ধ, ততদিন তাহারা উপদেষ্টার-সংস্কারকের যুক্তিপূর্ণ সারগর্ভ উপদেশে । কর্ণপাত না করিয়া, কেবল হাস্য-পরিহাস করিবে এবং কাবেই সংস্কারকগণের চক্ষুতে মুর্থ ও conservative বলিয়া বিবেচিত হইবে। বাস্তবিক তাহার ৪ cष भूर्थ ब| conservative नटश्, उाश अभिन्न विभंडiहत्व বুঝাইবার স্তু চেষ্টা করিব। . ' : ' , '" ۔۔ ۔۔۔۔ : : : : : ";
